ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা ১১ জয় আবাহনীর। লিগ পর্বে তাদের কোন প্রতিপক্ষই হারাতে পারেনি। অজেয় থেকে সুপার লিগে পা রাখল তারা। সুপার লিগেও এই সাফল্য রথ ধরে রাখলে দুই রাউন্ড পরই ট্রফির সুবাশ পেতে পারে আবাহনী।
বৃহস্পতিবার শেষ জামাল ধানমন্ডী ক্লাবের বিপক্ষে ১০ উইকেটের আরও একটি সহজ জয় এসেছে আবাহনীর। এর পেছনের কারিগর পেসাররা। এমনটাই জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রশংসা করে আবাহনী কোচ পেসারদের প্রশংসাও করলেন।
শুধু আক্ষেপ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানকে না পাওয়ার। ফিজ থাকলে আবাহনীতে বাংলাদেশ পেস বিভাগ হয়ে যেত বলে জানিয়েছেন সুজন, “এবার আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা পেস বিভাগ। বাইরে খালেদ, সাইফউদ্দিন বসে আছে। নাহিদ রানা এই দলেই ছিল। ওকে শাইনপুকুরে দিতে বাধ্য হয়েছি যে, ছেলেটা খেলুক। আমাদের পেস বিভাগ এত শক্তিশালী যে, বাংলাদেশের সেরা পেস বিভাগই বলা যায়। হয়তো মোস্তাফিজ আমার দলে থাকলে পুরো বাংলাদেশের পেস বিভাগ হয়ে যেত।”
প্রতিপক্ষ শেখ জামালের মতো বড় দল। তবুও আবাহনীর পেস বোলারদের সামনে টিকতে পারেনি দলটির ব্যাটিং লাইন। শরিফুল-তাসকিনদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। তাদের ইনিংস শেষ হয় ২৩তম ওভারে। জবাবে ১১তম ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় আবাহনী। ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয় ৩৪ ওভারের ভেতর।
“আমাকে নাম্বার ওয়ান বললে ভুল হবে। দেশে আমরা যতজন পেসার আছি সবাই নাম্বার ওয়ান। যে যখন খেলে, যার যখন সময় আসে সে-ই পারফরম করে। আমরা যদি নাম্বার ওয়ান না হতাম তাহলে জাতীয় দলে ডাক পেতাম না।”
শরিফুল ইসলাম
২৩তম ওভারেই গুটিয়ে যাওয়া ইনিংসে বলার মতো স্কোর নেই কারও। সাইফ হাসান ১৬, সৈকত আলি ২৩, নুরুল হাসান সোহান ০, ইয়াসির আলি রাব্বি ১৭ রান করে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। শরিফুল ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩৫ রানে। এছাড়া তাসকিন ২টি ও স্পিনার তানভীর ইসলাম ২ উইকেট নেন।
জবাবে এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ১০.২ ওভারে। বিজয় ২২ বলে ৩৭ ও নাঈম ৪০ বলে ৫৩ রান করেন।
ম্যাচে দারুণ বোলিং করে সেরা হয়েছেন শরিফুল। ঈদের আগে জাতীয় দলের হয়ে পাওয়া ছন্দ ধরে রেখেছেন প্রিমিয়ার লিগেও। দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও নিজেকে নাম্বার ওয়ান বোলার ভাবতে নারাজ শরিফুল, “আমাকে নাম্বার ওয়ান বললে ভুল হবে। দেশে আমরা যতজন পেসার আছি সবাই নাম্বার ওয়ান। যে যখন খেলে, যার যখন সময় আসে সে-ই পারফরম করে। আমরা যদি নাম্বার ওয়ান না হতাম তাহলে জাতীয় দলে ডাক পেতাম না।”