২০২৩ সালের জুলাইতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ। ওই সিরিজের হার মেনে নিতে পারেননি ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। শেষ ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ছিল তার। ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে কিছু একটা বলেছিলেন ওসব নিয়ে। তাই পুরষ্কার রেখেই দল নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে অতীতের ওই তিক্ততা সিলেটে ছিল না। দুই অধিনায়ক হাসি মুখে হাত মিলিয়েছেন। ইতিহাস গড়া কিন ব্রিজের পাশে ঐতিহ্যবাহী আমজাদের ঘড়ির সামনে ট্রফি উন্মোচনে সৌহার্দ্যের সঙ্গেই ছবি তুলেছেন।
জুলাইয়ের সেই ঘটনা এখন আর মনে রাখতে চান না জ্যোতি। বরং নিজ মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে চোখ তার। গতকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, “অতীতে অনেক কিছু হয়ে গেছে। কিন্তু ওটাতে আমরা বসে নাই। ভালো লাগছে যে ভারত অধিনায়কও বলেছে তাদের আচরণ পরিবর্তনের কথা। এর মানে হচ্ছে তারা আমাদের হালকাভাবে নেয়নি অবশ্যই।”
এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই হবে সিলেটে। ভারতের বিপক্ষে সিলেটেরে এ সিরিজকে তাই বিশ্বকাপ প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ হিসেবে দেখছেন জ্যোতি।
বড় দলের সঙ্গে প্রস্তুতির সুবিধার ব্যাপারে জ্যোতি বলেছেন, “এটা সুযোগ হিসেবে দেখছি। কারণ ভারত একটা ভালো দল। এবং তারা বিশ্বকাপের দল নিয়েই। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটা টি-টোয়েন্টি খেলা নিজেদের দেখে নেয়ার বড় সুযোগ।”
এ বছরের শুরুতে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া নারী আইপিএল দেখেছেন জ্যোতিরা। ওই টুর্নামেন্টে বড় স্কোর হয়েছে প্রতি ম্যাচে। জ্যোতি তাই আগে ব্যাট করলে বড় স্কোর করার কথাই ভাবছেন, “প্রথমে ব্যাট করে যদি ১৪০-১৫০+ রান করতে পারি তাহলে ভারতের জন্য কঠিন হবে। তবে এটা বলা উচিত না কারণ টি-টোয়েন্টিতে এখন কোনো রানই আসলে নিরাপদ না। মেয়েদের আইপিএলে দেখেছি ওরা বড় স্কোর তাড়া করে। তবে আমাদের যে বোলিং আক্রমণ তাতে আমরা ওই রানটা করলে ওদের আটকে রাখা সহজ হবে।“