এমন সিরিজ আগে কখনও আসেনি। প্রয়োজনীয় সব বক্সে টিক চিহ্ন ফেলেছেন ক্রিকেটাররা। একটি ম্যাচে এমন পাসমার্ক আগেও এসেছিল। কিন্তু পরের ম্যাচে আবার ব্যর্থতার গল্পও সঙ্গী হয়েছে। সেই জায়গায় এবার টানা দুই টেস্টেই এতটা নিঁখুত বাংলাদেশ!
স্বভাবতই খুশি ধরে রাখতে পারছেন না নির্বাচকরা। দলের সঙ্গে পাকিস্তানে আছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তার উচ্ছ্বাসটা জানা যায়নি। বয়সের দিক থেকে তার পরেই আছেন আবদুর রাজ্জাক। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি জানিয়েছেন এতদিন এমনটাই চেয়েছিলেন। শুধু নির্বাচক-ই না, সবার সব চাওয়া পূরণ করে দিলেন ক্রিকেটাররা।
সকাল সন্ধ্যাকে নিজের খুশি এভাবেই জানিয়েছেন সাবেক স্পিনার ও বর্তমান নির্বাচক রাজ্জাক, “অবশ্যই ভালো ফল, ভালো লাগার মতোই। ভাল-মন্দ সব সময় রেজাল্ট দিয়েই মাপা হয়। আমাদের ক্রিকেটাররা এই মানের। আগে সঠিক সময়ে ক্লিক করছিল না। এই সিরিজে সব ক্লিক করেছে। যে জায়গায় যে ক্রিকেটারদের ভালো করা দরকার, সে ওই জায়গায় হাত তুলেছে।”
রাজ্জাক আরও যোগ করেছেন, “আমরা ক্রিকেটারদের ওপর সবসময় এরকমই আশা রাখি। কখনও হয়, কখনও পুরোপুরি হয় না, এবার একদম পুরোপুরি হয়েছে। এটা কখনই আপনি আগে থেকে বলতে পারবেন না যে পাকিস্তানের সঙ্গে ওদের মাটিতে বাংলাদেশ দুটো ম্যাচ জিতে যাবে। ইটস নট আ জোক !”
পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এই সাফল্যের পছনের গল্পটা দেশ থেকেই তৈরি হয়েছে। দেশের মাটিতে অনুশীলন থেকে শুরু করে প্রস্তুতি ম্যাচ সব কিছুই বাংলাদেশকে তৈরি করেছে। তার ফলটা এসেছে পাকিস্তানে।
সাবেক এই স্পিনার জানিয়েছেন, “সবাই অনেকদিন ধরে এ সিরিজটি নিয়ে মনযোগী ছিল। ক্রিকেটাররা এই সিরিজের আগে একটু বিশ্রাম পেয়েছে। লাল বলের ক্রিকেটাররা আলাদা প্রস্তুতি নিয়েছে। ম্যাচ অনুশীলনটা হয়তো পরিকল্পনা মতো হয়নি। কিন্তু প্রক্রিয়াটা ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে প্রস্তুত করেছে।
সামনেই ভারত সিরিজ। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের ও আগ্রহের। পাকিস্তান সিরিজে ঐতিহাসিক জয়ে ভারত সিরিজেও বাংলাদেশ ভালো করবে এখনই তা বলতে চান না রাজ্জাক, “পাকিস্তান দলের বিপক্ষে দুটো ম্যাচ জয় নিজেদের সামর্থ্যেরও প্রমাণ। এর মানে এই নয় যে সামনের সব টেস্টে জিতে যাবে। সামনে কিন্তু ভারতের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ আমি আশা করছি। সেখানে এই সিরিজের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগবে।”
