প্রথম ম্যাচে আচমকা হেরে যাওয়ার ধাক্কা ভালো ভাবে কাটিয়ে উঠল ভারত। তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০০ রানে জিতেছে তারা। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে সমতায় ফিরল সফরকারীরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে ভাগ্য পরীক্ষায় জিতে উল্টো পথে হাঁটলেন অধিনায়ক শুভমান গিল। এবার আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিজেদের কাজ যথার্থ করেছেন ভারত ব্যাটাররা। অভিষেকের সেঞ্চুরিতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ২৩৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তারা। জবাবে ১৮.৪ ওভারে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি করেছেন অভিষেক। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুর্দান্ত আইপিএল কাটানোর প্রতিফলন দেখালেন এই ম্যাচে। মাত্র ৪৭ বলে ৮টি ছক্কা ও ৭ চারে ১০০ রানে থামেন অভিষেক।
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টানা তিন ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন এই ব্যাটার। ৪৬ বলে তার শতরান এই ফরম্যাটের ভারতের হয়ে তৃতীয় দ্রুততম। এ তালিকায় সবার ওপরে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা, ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। এবার অভিষেক ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করা লোকেল রাহুলের পাশে বসলেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন ভারত ওপেনার। উইন্ডিজের ইভিন লিউইসও অভিষেকের মতো প্রথম ইনিংসে ০ করার পর দ্বিতীয়টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার রিচার্ড লিভি তার দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন।
বিধ্বংসী অভিষেকের মতো ৪৭ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৭৭ করেন ঋতুরাজ গায়কোয়াদ। এছাড়া ২২ বলে ৪৮ করেন রিংকু সিং। জবাবে মুকেশ কুমার ও আভেষ খানের ৩ উইকেট করে শিকারে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ৪৩ করেন ওয়েসলি মাধেভেরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ লুক জঙ্গের।