প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে এলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার বেন কাটিং। বিগ ব্যাশ লিগের নিয়মিত মুখ এই অলরাউন্ডার এবার সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলছেন না। তাই এই অস্ট্রেলিয়ান চলে এলেন বাংলাদেশে। এবার বিপিএলে নিজের পাওয়ার হিটিং দক্ষতা দেখাবেন কাটিং। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে জানালেন ‘‘কিছু ছক্কা দেখবেন’’।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে তার ক্যারিয়ার লম্বা ছিল না। মাত্র চার ওয়ানডে ও সাত টি-টোয়েন্টিতে আপাতত থামতে হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে মোট ১৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেছেন। বিশ্বজুড়ে ঘুরে ঘুরে ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলতে খেলতে এবার তিনি পা রাখলেন বিপিএলে এবং এই আসরে একমাত্র অস্ট্রেলিয়ানও।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠ মাতানোর কথা জানিয়ে রাখলেন প্রথমদিনই। টি-টোয়েন্টিতে ১৭৮ ছক্কার মালিক বুধবার জানিয়েছেন, ‘‘আমি আশা করি, আপনারা কিছু ছক্কা দেখতে পারবেন। আমি ব্যাটে-বলে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি। আশা করি ভালো কিছু ম্যাচ খেলতে পারব।’’
বিপিএলের সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ লিগ হয়। যে কারণে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের পাওয়া যায় না একদমই। তবুও হাতে গোনা কিছু জাতীয় দলে খেলা অজি ক্রিকেটার বিপিএলে খেলেছেন। ব্র্যাড হজ, শন টেইট, ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথের পর বেন কাটিং অনায়াসেই বড় নাম।
কাটিং মনে করেন একই সঙ্গে দুই লিগ না হলে এই সংখ্যাটা আরও বড়ত, ‘‘কারণ তো খুব স্বাভাবিক। একই সময়ে বিগ ব্যাশ চলে অস্ট্রেলিয়াতে। আমি বাদে খুব কম অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারই অন্য লিগ খেলতে পারে। সম্ভবত ২-১ জন ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটারই শুধু খেলতে পারে। অন্যজন ক্রিস লিন, সে বিগ ব্যাশ খেলছে। এটাই একমাত্র কারণ। তবে আমি নিশ্চিত ছেলেরা বিপিএল খেলতে এলে অনেক উপভোগ করত। বিগ ব্যাশের সাথে সূচি সাংঘর্ষিক না হলে অস্ট্রেলিয়ার অনেকেই খেলতে পারত।’’
অস্ট্রেলিয়ার বাইরে টি-টোয়েন্টিতে আইপিএল শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা আছে বেন কাটিংয়ের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে জিতেছেন দুবার। বিপিএলে এবার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন এই অস্ট্রেলিয়ান, ‘‘আপনি ফাইনাল খেলতে চাইবেন, পরে শিরোপা জিততে চাইবেন। সব দল এটি করতে পারবে না। সাত দল খেলবে টুর্নামেন্টে। এর মধ্যে শুধু দুটি উঠবে ফাইনালে। আমি চাইবো আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সহযোগিতা করতে।’’ বাংলাদেশে খেলতে এসে মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে ধারণা নিয়েই এসেছেন এই অলরাউন্ডার। জানালেন উইকেট যেমনই হোক সমস্যা নেই তার। ব্যাটিং-বোলিং দুটোই করেন বলে যে কোনও এক বিভাগে দলকে এগিয়ে দিতে চান। পাশাপাশি সিলেটে দলের ৫ খেলার সবকটিতে জয়ের লক্ষ্য রাখছেন কাটিং
