Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

অ্যালেনরা ১৬ ছক্কা মারেন, বাংলাদেশিরা ৬টারও কম

টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির পথে কেবল ৫টিই ছক্কা ছিল তামিমের।
টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির পথে কেবল ৫টিই ছক্কা ছিল তামিমের।
[publishpress_authors_box]

•        আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা ১৬টি।

•        সর্বোচ্চ ছক্কার সেরা ২০ জনের তালিকায় আছেন হাঙ্গেরি, নেপাল, সার্বিয়ার ব্যাটাররা।

•        বাংলাদেশের কেউ নেই সেরা ১০০ জনের তালিকাতেও।

•        বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫টির বেশি ছক্কা নেই কারও।

‘দে ঘুমাকে’ মানে মার ঘুরিয়ে। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের থিম সং ছিল এটা। ওয়ানডেতেই এখন ব্যাকরণ মেনে ব্যাটিং বেমানান। সেখানে টি-টোয়েন্টি আরও দ্রুত গতির খেলা। এজন্যই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারতে যৌথভাবে হওয়া ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং ছিল,‘‘চার  ছক্কা হৈহৈ, বল উড়াইয়া গেল কই।’’

বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা বল উড়াতে পারেন না। আর ছক্কার খেলায় ছক্কা মারতে না পেরে এই ফরম্যাটে পিছিয়ে বাংলাদেশ। আজ (বুধবার) পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছিলেন ফিন অ্যালেন। শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফদের পাড়ার বোলার বানিয়ে এই কিউই ব্যাটার মেরেছেন ১৬ ছক্কা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড।

সেরা ১০০তে নেই বাংলাদেশি ব্যাটার

হজরতউল্লাহ জাজাইও মেরেছিলেন ফিন অ্যালেনের সমান ১৬ ছক্কা। ২০১৯ সালে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৬টি ছক্কা মেরেছিলেন আফগানিস্তানের এই ব্যাটার। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার সেরা ২০ জনের তালিকায় আছেন হাঙ্গেরি, নেপাল, সার্বিয়া এমনকি কানাডার ব্যাটারদের নামও। সেখানে বাংলাদেশের কোন ব্যাটার নেই সেরা ১০০ জনের তালিকাতেও।

বাংলাদেশের সেরা ৫ ছক্কা

পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫টি করে ছক্কা মেরেছেন চার ব্যাটার। ২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে  ১০৩* রানের ইনিংসে ৫টি ছক্কা ছিল তামিম ইকবালের। সমান ৫টি করে ছক্কা আছে নাজিমউদ্দিন (২০০৭, পাকিস্তান), মাহমুদউল্লাহ (২০১৯, জিম্বাবুয়ে) ও সৌম্য সরকারের (২০২০, জিম্বাবুয়ে)।

ব্যবধান ৭টা শট

ছক্কা মারতে না পারাটা এই আধুনিক যুগে কীভাবে ভোগাতে পারে এর উদাহরণ আছে ২০১২ সালে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। মিরপুরে হওয়া সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৯৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১৭৯ করে হেরে যায় ১৮ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা ছক্কা মেরেছিলেন ১৪টি, আর বাংলাদেশিরা ৭টি। মানে ৭টা ছক্কা কম। ৭ বলে এই ৭টা শটই গড়ে দিয়েছিল ম্যাচের ব্যবধান। ছক্কা মারার কৌশল না জানলে ভবিষ্যতেও এভাবে ম্যাচ হারবে বাংলাদেশ।

কেন পারছে না বাংলাদেশ

বাংলাদেশি ব্যাটারদের ছক্কা মারতে না পারা নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। একেকজন এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন একেক রকম। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাটা হলো, বাংলাদেশি কোচরা খেলা শেখান আগের মতই-সোজা খেলা, ভি-তে খেলা, টপ হ্যান্ডে খেলার কৌশলে। বাস্তবতা ছক্কা মারতে গেলে বটম হ্যান্ডেরও দরকার হয়। বাংলাদেশি ব্যাটাররা শুরুতে টপ হ্যান্ডে খেলা শিখে পরে আর সেটা বদলাতে পারেন না। তাই এই ফরম্যাটে ভালো করতে হলে আগে কোচিং দর্শন বদলানো জরুরি।

শারীরিক গড়ন বাধা নয়

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৫৫৩ ছক্কার রেকর্ডটা বহুদিন দখলে ছিল ক্রিস গেইলের। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তার ছক্কা ৫৫৩টি। গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিত শর্মার ছক্কা এখন ৫৮২টি। অথচ গেইলের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি আর রোহিত শর্মার ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। শারীরিক গড়ন যে ছক্কা মারতে বড় বাধা নয়, এটাই এর প্রমাণ।

ছক্কা মারতে শক্তি অবশ্যই দরকার। তবে শক্তির চেয়ে বেশি দরকার টেকনিক আর অনুশীলন। গর্ডন গ্রিনিজ ছাড়া ছক্কার এমন অনুশীলন খুব বেশি করাননি বাংলাদেশি কোচরা। পরিবর্তনটা আনতে হবে এখানেই।

পাওয়ার হিটিং কোচ

পাওয়ার হিটিং কোচের নতুন ধারণা নিয়ে এসেছিলেন জুলিয়ান উড। পিএসএল, বিগ ব্যাশের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কাজ করেছেন তিনি। স্যাম বিলিংস, লিয়াম লিভিংস্টোন, পৃথ্বী শ’র পাওয়ার হিটিংয়ে আরো পাওয়ার যোগ হয়েছে উডের সঙ্গে কাজ করে। বাংলাদেশও পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অ্যালবি মরকেল, জেমি সিডন্সদের। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে কোথায়?

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত