Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিটের শুনানি পেছাল

কক্সবাজারের ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশ, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি : পিআইডি
কক্সবাজারের ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশ, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি পেছানো হয়েছে।

আগামী রবিবার এই শুনানি হবে বলে বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে দেয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব বলেন, “আজকে পিটিশনারসহ উভয়পক্ষ মিলে আমরা সময় নিয়েছি। আগামী রবিবার আদালত শুনানির দিন ঠিক করে দিয়েছেন।”

রিট আবেদনকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া জানান, রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন দিন ঠিক করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে অ্যাটর্নি জেনারেল এ মামলার শুনানি করবেন। এজন্য রবিবার দিন রাখার আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন রেখেছেন।”

তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে প্রশাসনে শুরু হয় রদবদল।

এরই মধ্যে গত সোমবার মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে রিট আবেদনটি করেছিলেন।

যেখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর , বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর করা, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলের নিবন্ধন বাতিল, বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সকল কর্মকর্তা ,চলমান প্রশাসনের সকল বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও সহ বাংলাদেশ পুলিশের সকল বিভাগীয় কমিশনার, এসপি ও ওসি সাহেবকে বদলি করে বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীকে। নিষিদ্ধ করা হয় ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এই দলটির সহযোগী সংগঠনকেও।

গত ১ আগস্ট বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা থেকে ‘সন্ত্রাসী’ দল হিসাবে জামায়াতকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

তবে সরকার পতন ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যে রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে সেনাপ্রধান বৈঠক করেছিলেন সেখানে জামায়াত নেতারাও ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত