Beta
বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪

আফগানিস্তান ম্যাচে শান্তর বক্তব্য ‘গ্রহণযোগ্য’ নয় 

মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: সংগৃহীত
মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: সংগৃহীত
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

[publishpress_authors_box]

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ওই ম্যাচে রক্ষণাত্মক মানসিকতা বাংলাদেশকে প্রবল সমালোচনায় ফেলেছে। ম্যাচে ১৩ ওভারের মধ্যে ১১৬ রানের লক্ষ্যে ছিল নাজমুল হোসেন শান্তদের। অথচ রান তাড়ায় নেমে ৩ উইকেট হারানোর পর আর শেষ চারের জন্য খেলেনি বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নিজেই এ ব্যাপারটি বলেছেন। যা মেনে নিতে পারেননি দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। মেনে নিতে পারেনি বিসিবিও। বিশ্বকাপের পর মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রথম বোর্ড সভা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হোসেন পাপন।

১২ ওভারের আগে বাংলাদেশের লড়াই ছেড়ে দেয়া উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন পাপন, “আমরা প্রথম থেকেই বলছি। ওর (শান্তর) এই কথার সঙ্গে আমরা একমত না। এটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না। ১২ ওভার পর্যন্ত (আফগানিস্তানের বিপক্ষে)আমাদের লড়াই করা উচিত ছিল। দেখেছি, যখন রক্ষণাত্মক খেলার দরকার ছিল তখন মেরে খেলেছে। আর যখন মেরে খেলার দরকার ছিল, তখন রক্ষণাত্মক খেলেছে।”

ওই ম্যাচে পারফরম্যান্সের বিচারে ব্যাটারদের আগলে রেখেছেন পাপন। সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানদের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হারের উদাহরণ টেনেছেন তিনি, “১২ ওভারে ১১৫ রান টি-টোয়েন্টিতে করা কোন ব্যাপারই না। এটা আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ওই উইকেটে কেউ কি ওই রান করতে পেরেছে। অস্ট্রেলিয়াও তো আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ওই উইকেটে। ওই কন্ডিশনটা সহজ ছিল না কিন্তু ওরা (বাংলাদেশ ব্যাটাররা) চেষ্টা করেছে।”

তবে শান্তর ৩ উইকেট পড়ার পর ম্যাচ ছেড়ে দেয়ার মন্তব্যটা যে শুধু তার একার নয় সেটা স্পষ্ট। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেই ওই বার্তা গিয়েছে ম্যাচ চলাকালীন। এর কারণ অবশ্য নাজমুল হাসান এখনই জানেন না। কারণ অধিনায়ক-কোচ কারও সঙ্গেই আলোচনা করতে পারেননি।

অবশ্য শান্তর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেননি পাপন, “আমি একটা ব্যাপারের উত্তর দিতে পারছি না, সেটা হল আমাদের অধিনায়ক বলেছে যে ৩ উইকেট পড়ার পর আমরা চেষ্টা করিনি। এটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য না। কিন্তু আমি যতক্ষন খেলা দেখেছি ততক্ষণ এমনটা মনে হয় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তাওহিদ হৃদয় ছিল ততক্ষণ ওরা চেষ্টা করেছে। মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদও রশিদ খানকে ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়েছে।”

পাপন অবশ্য চুপ থাকেননি। মঙ্গলবারের সভাতেই বোর্ড পরিচালকদের কাছে জানতে চেয়েছেন শান্তর ওই রকম বক্তব্যের কারণ। কিন্তু কেউই ওই ব্যপারে কোন উত্তর দিতে পারছেন না। পাপন বলেছেন, “আপনাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর নির্দিষ্ট করে দিতে পারতাম যদি আমরা ওদের সঙ্গে আমি কথা বলতে পারতাম। আমি না …মানে বোর্ডে যারা আছে ওরাও কথা বলতে পারতো। কারণ আজকে বোর্ডের যাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছি তারা কেউ জানে না।”

একটু মজা করেই পাপন বলেন, “এখন আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি একটা ব্যাপারে….আপনি যদি বলেন …আপনি জানেন না, তাহলে আমরা কি করবো?”

তাই আবারও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ভবিষ্যতে। যেমনটা ২০২৩ বিশ্বকাপের পরও হয়েছিল। কোচ-অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার পর সেমিফাইনাল হাতছাড়া করার উত্তর মিলবে!

সামনে কোচ বা অধিনায়ককে পেলে পাপন তাহলে কি জানতে চাইবেন? এর উত্তরও সঠিক দিতে পারেননি বিসিবি প্রধান, “বেসিক কিছু জিনিস, একটা হচ্ছে কোচের রিপোর্ট থাকে। সেটা চাওয়া হয়েছে যে কোন সময় পেয়ে যাব। আরেকটা হল টিম ম্যানেজারের রিপোর্ট থাকে। সেটাও আমরা পাইনি। এই দুটা পাওয়ার পরে আমরা কোচিং স্টাফ, অধিনায়কের সঙ্গে বসি। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গেও বসি। তো এখন পর্যন্ত এগুলোর একটাও হয়নি। এখন দর্শক হিসেবে আমার যেটা মনে হয়েছে তা বললাম।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত