এমন নিঁখুত ইনিংস বাংলাদেশ ব্যাটাররা খুব কমই খেলে থাকেন। ভুল শট নেই, উচ্চাভিলাষী শট খেলারও লোভ নেই। নিশ্চিত সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন সাদমান ইসলাম। অথচ একরাশ হতাশা ছড়িয়ে তাকে ফিরতে হলো ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে। ৯৩ রানে সাদমানের বোল্ড হওয়ার পরই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন চা বিরতি ডাকেন আম্পায়াররা।
৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ১৯৯। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনও ২৪৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত আছেন ৩৮ বলে ১৫ রানে।
সবশেষ ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একাদশে ছিলেন সাদমান। এরপর থেকে পরিবর্তির ওপেনার হিসেবে দলে জায়গা পেয়ে এসেছেন। এতদিন পর মাহমুদুল হাসান জয়ের ইনজুরি একাদশে ফেরার সুযোগ করে দেয় তাকে। সেই সুযোগটা দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছেন এই ওপেনার।
ক্রিকেট ব্যাকরণে মেনে খেলা সব শটে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন সেঞ্চুরির দিকে। ১২ চারের সবকটিই ছিল প্রপার ক্রিকেটীয় শট। ৫৭ রানে থাকা অবস্থায় সালমান আলির বলে তাকে এলবিডব্লিউ আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার হোল্ডস্টক। কিন্তু মনযোগী সাদমান বুঝেছিলেন বল তার লেগ স্ট্যাম্প মিস করবে। তাই রিভিউ নিয়ে সফলও হয়েছেন।
ওই একটি ছাড়া সাদমানকে বিপদে ফেলতে পারেননি পাকিস্তান বোলাররা। শেষটায় কাল হলো নার্ভাস নাইনটি। দারুণ স্লাইডে চার মেরে ৯৩ রানে পৌঁছেছিলেন সাদমান। তখনও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন পুরোপুরি। এরপরের ৮ বলে কোন রান পাচ্ছিলেন না। সেখানেই কি গোলযোগ বাঁধে!
মোহাম্মদ আলির রাউন্ড দ্যা উইকেট থেকে করা স্ট্যাম্প বরাবর বলটিতে ঠিকঠাক পা নিতে ব্যর্থ হন সালমান। এতে ব্যাট-প্যাডে ফাঁক থেকে যায়। আর সেখান দিয়েই বল গলে সাদমানের স্ট্যাম্প উপরে দেয়। শেষ হয় প্রায় চার ঘণ্টার লড়াই। জিম্বাবুয়ের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সুযোগটা তাই হারালেন এই ওপেনার।