যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে আবারও তার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড সোশাল মিডিয়ায় বাংলা ও ইংরেজিতে এই বার্তা জানিয়েছে।
দলটির অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি (প্রধানমন্ত্রী) জননেত্রী শেখ হাসিনা ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, তার এই বিশাল বিজয় তার অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলির প্রমাণ এবং আমেরিকার জনগণের তার ওপর অর্পিত গভীর বিশ্বাসের প্রতিফলন।”
“শেখ হাসিনা ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প এবং মেলানিয়া ট্রাম্পের সাথে তার প্রথম প্রেসিডেন্সির সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বিভিন্ন সাক্ষাৎ ও সাক্ষাৎকারের স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সির অধীনে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন তিনি।”
“তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারকে সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং সুখ কামনা করেন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য স্থায়ী শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এর পর থেকে তিনি দিল্লিতে একটি সুরক্ষিত সরকারি বাংলোয় আছেন। সেখানে যথাযথ প্রোটোকলও পান তিনি।
নয়া দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো এলাকার ওই বাড়িতে তিন মাসের বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা বাস করছেন। এ ধরনের বাড়ি মর্যাদা অনুসারে মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে।
২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গত জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত মাস অক্টোবরে শেখ হাসিনা, তার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং আরও ৪৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই দেশত্যাগ করেছেন; আবার অনেকে প্রকাশ্যে আসছেন না। তবে ইদানিং কাউকে কাউকে সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন পোস্ট দিতে এবং পোস্ট শেয়ার করতে দেখা গেছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আইসিটির তদন্তে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার ৬০টির বেশি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।