চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। অথচ মঙ্গলবার দারুণ মিল তাদের। বিকেএসপির দুই মাঠে হাতে হাত রেখে জিতল আবাহনী ও মোহামেডান। জয়ে খুশি দুই দল-ই। শেখ জামাল ধানমন্ডী ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতল আবাহনী। ওদিকে শাইনপুকুরকে ৮ রানে হারিয়ে লিগে রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল মোহামেডান।
লিগের দুই ম্যাচ হাতে রেখে নিজেদের ইতিহাসে ২৩তম লিগ শিরোপা নিশ্চিত করল আবাহনী। টানা দ্বিতীয়। দলটির কোচ হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজন জিতলেন অষ্টম শিরোপা। সুপার লিগের তৃতীয় রাউন্ড শেষে আবাহনীর পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ২৮। মোহামেডানের ১৪ ম্যাচে ২২।
শিরোপা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কোচ কৃতিত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটারদের, “অবশ্যই আমি আনন্দিত। আমি যতোই পরিকল্পনা করি না কেন মাঠে সেটার প্রতিফলন কিন্তু ক্রিকেটাররাই করে। আজকে দেখেন আমাদের দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও ২৬৭ রান চেজ করে জিতেছি। শুরু থেকেই বলে আসছি আমরা সেরা দল গড়েছি। শিরোপা জয় দিয়ে তা প্রমাণ করলাম।”
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে হয়েছে শাইনপুকুর ও মোহামেডানের ম্যাচ। চার নম্বরে আবাহনী ও শেখ জামালের। দুটি ম্যাচ শেষ দুটি ওভারে চলে আসে একই অবস্থানে। দারুণ উত্তেজনায়। শেষ দুই ওভারে মোহামেডানের বিপক্ষে শাইনপুকুরের জিততে দরকার ১৭ রান। এদিকে শেখ জামালের বিপক্ষে আবাহনীর জিততে দরকার ১৯ রান।
জমে ওঠা দুই ম্যাচে কি ফল হয়! সেই উত্তেজনার রেশ ছড়িয়ে গেল দুই দলের ক্রিকেটারদের মাঝেও। এক মাঠ থেকে অপর মাঠে উঁকি মারছিলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। আবাহনীর ম্যাচ শেষ হয় মোহামেডানের ম্যাচের এক ওভার আগে। নিজেদের ম্যাচ শেষ হতেই খালেদ আহমেদ, নাঈম শেখ, মাহমুদুল হাসান জয়রা ছুটে গেলেন পাশের মাঠে মোহামেডানের ম্যাচ দেখতে।
শেষ পর্যন্ত একই মালিকানার শাইনপুকুরকে সমর্থন জুগিয়েও জেতাতে পারেননি তারা। শেষ ওভারে ১১ রানের প্রয়োজনীয়তায় মাত্র ২ রান নিতে পেরেছে শাইনপুকুর। আবু হায়দার রনি শেষ ওভারেই নিয়েছিলেন দুই উইকেট। এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৫৬, মেহেদি হাসান মিরাজের ৫৮ ও আরিফুল হকের ৪১ রানে ২৫৫ রান করে মোহামেডান। জবাবে মার্শাল আইয়ুব ৭০ ও আকবর আলি ৬১ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। দুই বল আগে শাইনপুকুরকে অলআউট হতে হয় ২৪৭ রানে।
অবাহনীকে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। অবশ্য শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজনীয়তা খুব কঠিন ছিল না আবাহনীর জন্য। আগের চার বলেই ৮ রান নিয়ে নেন মোসাদ্দেক। তার ৫৪ বলে ৫৩ রানের পাশাপাশি আফিফ হোসেনের ৮৩ ও এনামুল হক বিজয়ের ৬৭ রানে ৬ উইকেটে ২৭৩ করে আবাহনী। এর আগে জিয়াউর রহমানের ৫৮ বলে ৮৫, সাকিব আল হাসানের ৪৯ ও নুরুল হাসান সোহানের ৪১ রানে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল।