২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ওয়ানডে থেকে অবসরের কথা বলে রেখেছেন সাকিব আল হাসান। ধরা হচ্ছিল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এই ফরম্যাটে তার শেষ আসর। কিন্তু সাকিবের চিন্তাটা ভিন্ন। আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই অলরাউন্ডার।
বিসিবির নিয়মিত আয়োজনে আজ তাদের ফেইসবুকে পেজে সাকিব আল হাসানের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ও দলের লক্ষ্যর ব্যাপারে জানানোর পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে নিজের পরিকল্পনাটাও জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেছেন, “আমার নামের পাশে আমি কিছু দেখতে চাই না। একটা জিনিসই চাই বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে এবং এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ভালো কিছু দিতে। আশা করবো যেন আরেকটা বিশ্বকাপ খেলতে পারি। তার আগে চাই এই বিশ্বকাপে আমার পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে এবং বাংলাদেশ অন্যান্য যে কোন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ভালো ফল করে আসতে পারে।”
২০০৭ থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন সাকিব। সঙ্গে ভারতের রোহিত শর্মারও আছে এই কীর্তি। এমন বিরল অর্জন সাকিবের জন্য গর্বের বলে জানিয়েছেন, “যখন শুরুর করেছিলাম ক্রিকেট খেলা সেটা যে এতদিন খেলতে পারব তা ভাবিনি। প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসরেই খেলতে পারছি সেটা আমার জন্য গর্বের ও আনন্দের। আমি আর রোহিত শর্মা দুজন সবগুলো বিশ্বকাপ খেলতে পেরেছি এটা অনেক ভালো লাগার।”
বাংলাদেশের পাশাপাশি সাকিবের দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেখানেই বিশ্বকাপ। এছাড়া আগে উইন্ডিজে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঘরের মাঠের সুবিধা পাবে বলে মনে করেন সাকিব, “আমার দ্বিতীয় বাড়ি সেটা ঠিক আছে, তবে হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কিনা সেটা বলা মুশকিল। আমার মনে হয় পাবে। কারণ উইন্ডিজে ও আমেরিকায়, এর আগে ফ্লোরিডাতে যখন খেলেছি তখনও বাংলাদেশ ভালো করেছে। আর উইন্ডিজে আমরা সবসময়ই সুবিধা পাই কারণ পিচগুলো আমাদের দেশের মতোই হয়ে থাকে। তো আশা করছি দুই জায়গাতেই বাংলাদেশ সুবিধা পাবে।”
দ্বিপক্ষীয় সিরিজ পাশে রেখে বিশ্বকাপে ব্যাট বলের উপভোগ্য লড়াইয়ের আশা রাখছেন সাকিব। কারণ আইসিসি টুর্নামেন্টে কোন দলের নিজের মতো পিচ তৈরি করার নিয়ম নেই। তাই দুই পক্ষের জন্য সমান হয়ে ওঠা উইকেটে বাংলাদেশ ভালো করবে এমন আশা করছেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার।
