আগামী বিপিএলের রূপরেখা দাঁড়ানোর বিষয়টি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ মাসের শুরুতে প্লেয়ার্স ড্রাফট হওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষদিকে গড়িয়েছে। কিন্তু দল ঠিক না হওয়ায় প্লেয়ার্স ড্রাফট আরও পেছাতে পারে। তবে ২৭ ডিসেম্বর টুর্নামেন্ট শুরুর তারিখ ঠিক রাখতে চায় বিসিবি।
বিপিএলের জন্য নির্ধারিত দেড় কোটি টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল ৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বোর্ড প্রধান ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ না হওয়ায় ফি জমা দেওয়ার সময় পেছানোর আবেদন করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা।
বিপিএল নিয়ে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন তারা। এই আলোচনায় আসবে বহুল প্রতিক্ষীত লভ্যাংশ বন্টন ইস্যু।
প্লেয়ার্স ড্রাফট ও লভ্যাংশ বন্টনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিএল সংশ্লিষ্ট একজন বিসিবি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এখনও দলই ফিক্স হয়নি। দল ঠিক হলে প্লেয়ার্স ড্রাফটের বিষয়টা আসবে। যে সময় দেওয়া আছে প্লেয়ার্স ড্রাফট ওই সময় থেকে পিছিয়েও যেতে পারে।”
দল ঠিক হওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত করা বাকি। ঢাকার দল নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক পাচ্ছে। এছাড়া রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা সামনের মৌসুমেও খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাত দলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাইছে বিসিবি। তাই আরও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জায়গায় আরও একটি দল নিশ্চিত করতে হবে বিসিবিকে। জানা গেছে দুরন্ত রাজশাহী নামে আগেই বিপিএলে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নিতে পারে সামনের বার।
এদিকে চ্ট্টগ্রামের মালিকানা পেতে চাইছে চট্টগ্রাম কিংস নামে খেলা ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিবিএল সিরামিকস। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মালিকপক্ষ আকতার গ্রুপও দল ছাড়তে রাজি নয়। হঠাৎ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের বিপিএল খেলার আগ্রহের কারণ লভ্যাংশ বন্টন বিষয়।
বিপিএলের স্বার্থে লভ্যাংশ বন্টন ইস্যুতে নমনীয় হবে বিসিবি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সূত্র বলেছেন, “এ বছর যেহেতু আমাদের অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাই আমাদের মূল লক্ষ্য বিপিএল মাঠে গড়ানো। সেজন্য যেটা ভালো হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সেটাই করবে বিসিবি।”
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দল নিশ্চিত হবে বলে জানিয়ে সূত্র আরও বলেছেন, “বিপিএল শুধু দল কে হবে এটা নিয়ে আলোচনা নয়। অনেক ইস্যুই আছে। একটা প্রস্তাব থাকবে, সেটাতে কে রাজি হবে কে হবে না দেখার বিষয় আছে। কোন জায়গায় কে ছাড় দিবে সেটাও দেখতে হবে। আশাকরি আগামী ১-২ সপ্তাহে দলের বিষয় ঠিক হয়ে যাবে।”
আসন্ন মৌসুম সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়ে টুর্নামেন্ট করা বড় চ্যালেঞ্জ বিসিবির জন্য। দল কমে গেলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিতে পড়বে বিসিবি। আবার দল ঠিক না হলে প্লেয়ার্স ড্রাফটের তারিখ নিশ্চিত হচ্ছে না। তখন বিদেশী ক্রিকেটার পাওয়াও কঠিন। তাই বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করতে চায় বোর্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজি সবাই।