Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

ইরানের সঙ্গে চুক্তিতে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি কতটা

ইরানের চাবাহার বন্দর। ছবি : এএফপি।
ইরানের চাবাহার বন্দর। ছবি : এএফপি।
[publishpress_authors_box]

ইরানের উপকূলীয় শহর চাবাহারে অবস্থিত শহিদ বেহেশতি বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনায় গত সোমবার ১০ বছরের একটি চুক্তি করেছে ভারত, যা বিশ্বে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

ভারতের এই চুক্তির লক্ষ্য তার পশ্চিমদিকের প্রতিবেশী ও চিরশত্রু পাকিস্তানের বন্দরগুলো ব্যবহার ছাড়াই স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানো।

মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ভারতের এই চেষ্টা নিয়ে দেশটির নৌপরিবহন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন, “এটি [চাবাহার বন্দর] একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ধমনী হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে ভারত আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।”

তবে ইরানের ওপর যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেহেতু এই চুক্তির ফলে ভারতের ওপরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হলো কি না—তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

বলা হচ্ছে, এতে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেছেন, “কেউ ইরানের সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি করতে চাইলে তাদের এর সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের জন্য নিষেধাজ্ঞায় পড়ার ঝুঁকিও তৈরি করবে।”

তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি অত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর সাংবাদিকদের বলেন, নয়া দিল্লি যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তির ‘সুবিধাগুলো জানাবে’ এবং ‘বিষয়টি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখার’ আহ্বানও জানাবে।

তিনি জানান, চুক্তিটির ফলে ওই অঞ্চলের সব দেশই উপকৃত হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।

চাবাহার বন্দর চুক্তিতে কী আছে

চুক্তিটি ভারতের ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্টস অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (পিএমও) মধ্যে হয়েছে। এর মাধ্যমে নয়াদিল্লি ১০ বছরের জন্য চাবাহার বন্দরে একটি টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।

সাগরমালা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এই ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল)। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, কন্টেনার হ্যান্ডলিং থেকে শুরু করে ওয়্যারহাইজিংয়ের মতো কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রথম এই বন্দর পরিচালনার কাজ শুরু করে ভারত।

দক্ষিণ-পূর্ব সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের উপকূলে ওমান উপসাগরে অবস্থিত চাবাহার বন্দর শহিদ কালান্তারি ও শহিদ বেহেশতি নামের দুটি পৃথক বন্দর নিয়ে গঠিত।

ভারত শহিদ বেহেশতিতে একটি টার্মিনাল পরিচালনা করবে এবং সোমবারের চুক্তি অনুযায়ী এর উন্নয়নের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। বন্দরে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর জন্য অতিরিক্ত ২৫০ ডলার ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট বিনিয়োগ হবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার।

এই প্রকল্পের বিষয়ে ভারত ও ইরান প্রথম আলোচনা শুরু করে ২০০৩ সালে। কিন্তু ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় তা থেমে যায়।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ দেশের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তির পর ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করলে তেহরান ও নয়া দিল্লি পুনরায় আলোচনা শুরু করে।

২০১৬ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইরান সফরের সময় বন্দরটির উন্নয়নে ভারত, ইরান ও আফগানিস্তান একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে। আফগানিস্তানও পাকিস্তানের বন্দরগুলোর বিকল্প পথ খুঁজছিল।

তখন গভীর সমুদ্র বন্দরটিকে একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৬০০ মিটার (১৯৬৯ ফুট) দীর্ঘ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সুবিধা পুনর্গঠনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নয়া দিল্লি।

চাবাহার পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত, যা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে ভারতের গমের প্রথম চালানটি চাবাহার বন্দর হয়ে যায়, ফলে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে যাওয়া স্থলপথ ব্যবহার করতে হয় না।

কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং তেহরানের উপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় চালু করেন। এতে চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসে।

চাবাহার কেন গুরুত্বপূর্ণ

ভারত তার ৬০০ বিলিয়ন ডলারের উৎপাদন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি তার পশ্চিম দিকের দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। কিন্তু বৈরী সম্পর্কের কারণে পাকিস্তানের স্থলপথ ব্যবহার করে রপ্তানির প্রস্তাব দেওয়া ভারতের জন্য কঠিন।

ভারত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে লেনদেন এড়িয়ে প্রথমে ইরানে এবং তারপর রেল বা সড়ক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তানের মতো সম্পদ-সমৃদ্ধ স্থলবেষ্টিত দেশগুলোতেও পণ্য পরিবহন করতে পারে। এক্ষত্রে এমনকি ইরান হয়ে রাশিয়া পর্যন্ত পৌঁছানোও যাবে বলে মনে করছে ভারত।

নয়া দিল্লি ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) ফেলো কবির তানেজা বলেছেন, ভারতের জন্য চাবাহার হলো এর প্রতিবেশী নীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু- যা অনেকটা পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ায় আরও বিনিয়োগের সুযোগের এক সোনালী দরজা।

তানেজা বলেন, “বন্দরটি ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলের চলমান আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ বাণিজ্য করিডোর (আইএনএসটিসি) প্রকল্পের একটি অন্যতম অংশ হয়ে দেখা দিয়েছে। এই করিডোরের লক্ষ্য ভারতীয় আর্থিক কেন্দ্র মুম্বাই এবং আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর মতো বড় শহরগুলোকে ইরান হয়ে সমুদ্র, সড়ক ও রেলপথে যুক্ত করা।”

মধ্য এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করার জন্য আইএনএসটিসি ভারতকে একটি কম খরুচে ও স্বল্পদূরত্বের পথ দেবে। তবে রাশিয়া ও ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এটির ওপরও তার নেতিবাচক প্রভাবে পড়েছে।

অন্য বিশ্লেষকরা বলছে, চাবাহার চুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের লেনদেনের বিরুদ্ধেও একটি জবাব। চাবাহার বন্দরের পূর্বদিকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর মাত্র চার ঘণ্টার পথ, যা আংশিকভাবে চীনা বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে চীন গোয়াদর বন্দরের উন্নয়নে প্রায় ১.৬২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুদেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা কতটা

নয়া দিল্লি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র অতীতে দুবার- ১৯৭৪ ও ১৯৯৮ সালে ভারতের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ওপর সীমিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

তবে স্নায়ু যুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে তারা একে অপরকে কৌশলগত অংশীদারদের মধ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে গণ্য করে।

ভারত জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও দেশের ওপর আরোপিত কোনও নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দেয় না। তথাপি দেশটি ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার বেশিরভাগই মেনে চলে।

কয়েক বছর আগেও ভারত ইরানকে তার শীর্ষ তেল সরবরাহকারীদের মধ্যে গণ্য করত। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে তেহরানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। এরপর ভারত ইরানের তেল কেনা বাদ দেয়।

তবুও ২০১৮ সালে নয়া দিল্লি সফলভাবে চাবাহার সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলো থেকে কিছু ছাড় পেতে ওয়াশিংটনের কাছে লবিং করেছিল। ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ট্রানজিট রুটটি আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে পারে। সেই সময় এ বিষয়টির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও নিরাপত্তা স্বার্থ জড়িয়ে ছিল।

চাবাহার বন্দরের সঙ্গে আফগানিস্তানের সংযোগ স্থাপনকারী একটি নির্মাণাধীন রেলপথও সেসময় নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের স্মারক হিসেবে একটি পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশ করেন।

কিন্তু এখন গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে তেহরান। এতে ইরানের ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ পরিস্থিতি ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে কঠিন অবস্থায় দাঁড় করিয়েছে।

কিছু বিশ্লেষক উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালে সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান নিয়েও এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের তেমন কোনও আগ্রহ নেই।

তবুও বিশেষজ্ঞরা ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা দেখছেন না।

নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান সচদেভা বলেছেন, “এই ধরনের ছোটখাটো ইস্যুতে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা খুবই কম। যা হতে পারে তা হলো, শুধু চাবাহার বন্দর চুক্তিতে জড়িত সংস্থাগুলোর ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।”

ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী

ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও নিষেধাজ্ঞা রোধ করা হবে এবং তা বিশ্ব বাণিজ্যকে প্রভাবিত করবে না।

ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভারতকে এর আগেও বেশ আঘাত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র চাবাহার বন্দরের জন্য ভারতকে যে ধরনের ছাড় দিয়েছে, একই ধরনের ছাড় মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের অবকাঠামোগত উদ্যোগগুলোর জন্য দেয়নি। এতে ভারতের মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়।

এছাড়া ইরানের তেল কেনা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও ক্ষতি হয়েছে ভারতের। অন্যান্য দেশ থেকে বেশি দামে তেল কেনার ঝুঁকিতে পড়েছে নয়া দিল্লি।

ফলে যুক্তরাষ্ট্র যদি চাবাহার নিয়ে কঠোর কোনও পদেক্ষপ নেয়, তাহলে ভারতও অতীতের তুলনায় আরও কঠোর হবে বলে ধারণা অনেক বিশ্লেষকের।

বিশ্লেষক তানেজা বলেন, “চাবাহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং নয়া দিল্লি এটিকে দীর্ঘমেয়াদে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করতে ইচ্ছুক।”

ওয়াশিংটন ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফটের গ্লোবাল সাউথ প্রোগ্রামের পরিচালক সারং শিদোর বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাস্তব হুমকি সত্ত্বেও ভারত যদি এগিয়ে যায়, তবে এটি ওয়াশিংটনের জন্যও একটি সতর্কতা সংকেত হবে।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার জন্য চাপ সত্ত্বেও গ্লোবাল সাউথ বা বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থ অনুসরণ করতে থাকবে।

“ওয়াশিংটনের উচিত গ্লোবাল সাউথের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ চাপিয়ে দেওয়া নীতিগুলোর পুনঃমূল্যায়ন করা। আর নয়তো সেগুলো তাদের এই বিশাল এবং বহুলাংশে নিরপেক্ষ এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রর জন্য সুযোগগুলোও সীমিত হয়ে আসতে পারে।”

তথ্যসূত্র : আল জাজিরা

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত