Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড পেলেন আফসান চৌধুরী

ss-afsan award-11-5-24
[publishpress_authors_box]

ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড পেলেন লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক আফসান চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিমের স্মরণে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

শনিবার ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যাস কমিউনিকেশন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইআইএমসি.বি) এর আয়োজনে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ইহসানুল করিম।

অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূইয়া। আইআইএমসি.বি এর নতুন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টি।

ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর আফসান চৌধুরী বলেন, “ইহসান ভাই আমার সহকর্মী ছিলেন। একসঙ্গে বিবিসিতে কাজ করতাম। আমি সাংবাদিক, সংবাদ দেব, এর বাইরে কিছু নয়। আজকে আমার ৫১ বছরের সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার। আমি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াই।”

সাংবাদিকতা পেশায় যদি বেতন ঠিকমতো না পাওয়া যায় তাহলে সাংবাদিকতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি। অ্যাওয়ার্ড হিসেবে আফসান চৌধুরীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ ১ লাখ টাকা।

১৯৫২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আফসান চৌধুরীর জন্ম। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিভাগ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পর সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বাংলাদেশের ইংরেজি সাময়িকী ঢাকা কুরিয়ার, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার ও বিবিসিতে কাজ করেন। পরবর্তীতে যোগ দেন শিক্ষকতা পেশায়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “ইহসানুল করিম সাহেবের অনেক গুণের কথা শুনেছি। আমার মনে হয় না, বাংলাদেশে এমন দ্বিতীয় ব্যক্তি আছে যিনি রাষ্ট্র ও সরকার, দুটোর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।”

এসময় আগামী দিনের ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কোন দল ক্ষমতায় আছে সেটার ওপর যেন এ সম্পর্ক নির্ভর না করে।”

ভারত থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধক্ষ্য অনিমেষ বিশ্বাস যোগ দেন। তিনি দুই দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়াতে আহ্বান জানান।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন বাংলাদেশ এর বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, “আমাদের কাছে দিনটা দুঃখের, একই সঙ্গে আনন্দের। দুঃখের এই কারণে যে, এখানে যার সভাপতিত্ব করার কথা ছিল, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তিনি গত মার্চে গত হয়েছেন। ইহসানুল করিম নামে একটি অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছি। যারা শিক্ষা এবং সাংবাদিকতা দুটোতেই ভূমিকা রেখেছে তাকেই আমরা এ অ্যাওয়ার্ড দিব।”

ইহসানুল করিম ১৯৪৯ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি অংশ নেন।

গত মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ইহসানুল করিম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত