আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই নিয়ে ঝড় উঠছে চায়ের টেবিলে। চ্যাটজিপিটি নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাজারে আসার পর আলোচনা হচ্ছে আরও বেশি। ভাষাভিত্তিক এই চ্যাটবট তার তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করে প্রায় সব প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারে।
চ্যাটজিপিটি রচনা লিখতে পারে, চাকরির বা ছুটির আবেদন, যেকোনো রিপোর্ট তৈরি করতে পারে, এমনকি গান ও কবিতাও লিখতে পারে।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো এআইকে দিয়ে সর্বকালের সেরা ৬ ফুটবলার বাছাই করেছে। নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে কাজটি সম্পন্ন করেছে এআই। দেখে নেওয়া যাক এই প্রযুক্তি কোন ছয়জনকে বেছে নিল সর্বকালের সেরা হিসেবে।
১. পেলে, ব্রাজিল
তিনি ফুটবল সম্রাট। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি ১৯৯৯ সালে শতাব্দীর সেরা অ্যাথলেটের স্বীকৃতি দিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান এই কিংবদন্তিকে। তাকেই সর্বকালের সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছে এআই।
২. ডিয়েগো ম্যারাডোনা, আর্জেন্টিনা
পেলে নাকি ম্যারাডোনা-দুজনের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে বিতর্ক চিরকালীন। দুজন দুই সময়ের ফুটবলার হওয়ায় এর উত্তর মেলানো কঠিন। তবে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে পেলের পরই রেখেছে এআই।
৩. লিওনেল মেসি, আর্জেন্টিনা
পেলে-ম্যারাডোনার মত মেসি-রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। দুজন একই সময়ে খেলায় এর মাত্রাটা পেয়েছে অন্য মাত্রা। তবে বিশ্বকাপ জেতায় আর সর্বোচ্চ ব্যালন ডি’অর ঝুলিতে থাকায় এআই রোনালদোর আগে তিন নম্বরে রেখেছে মেসিকে।
৪. ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, পর্তুগাল
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড ব্রাজিলের রোনালদোর সঙ্গে জোড় প্রতিদ্বন্দ্বীতাই হয়েছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। বিশ্বকাপ না জিতলেও এআই শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় সেরা চারে রেখেছে পর্তুগিজ যুবরাজকে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের মত চ্যাম্পিয়নস লিগেও সবচেয়ে বেশি গোলের কৃতিত্বটা তার।
৫. ইয়োহান ক্রুইফ
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মত বিশ্বকাপ জিতেননি ইয়োহান ক্রুইফও। তবে ১৯৭৪ সালে খেলেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালে। বার্সেলোনার সাবেক এই কিংবদন্তিকে বলা হয় ‘টোটাল ফুটবলের’ জনক। আয়াক্স ও বার্সেলোনা মাতানো এই কিংবদন্তি আছেন পাঁচ নম্বরে।
৬. আলফ্রেদো দি স্তেফানো
আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন জাতীয় দলে খেলেছেন আলফ্রেদো দি স্তেফানো। তারপরও বিশ্বকাপে কখনও পা পড়েনি এই কিংবদন্তির। ১৯৫৫-৫৬ থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়নস লিগ) জয়ের নায়ক ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তাই ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, গারিঞ্চা, প্লাতিনিদের পেছনে ফেলে সেরা ছয়ে জায়গা করে নিয়েছেন দি স্তেফানো।
