ম্যাচ শেষে অনেক সমর্থক দাঁড়িয়ে রইলেন ড্রেসিং রুমের সামনে। কখন বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা বের হবে, তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাবেন। টিম বাসে ওঠার আগে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে এক দল সমর্থক সেলফি তুললেন। সেলফি শিকারীদের খপ্পরে পড়তে হলো শেখ মোরসালিন, তারিক কাজীদেরও।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে হারলেও বাংলাদেশ লড়াই করেছে বুক চিতিয়ে। আর সেই কারণেই কিনা মেলবোর্নে ৭ গোল হজমের দুঃখটা ফিকে হয়ে গেছে অনেকটাই। ড্রেসিংরুম থেকে যখন ফুটবলাররা বের হচ্ছিলেন, সবার মুখে ছিল হাসি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ফল এবার ফুটবলারদের করে তুলেছে আত্মবিশ্বাসী। যে আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ১১ জুন লেবাননের বিপক্ষে।
মাঠে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা দারুণ লড়াই করেছেন। তাইতো তাদের হয়ে যেন সাদ উদ্দিন বললেন, “আজ আমাদের ডিফেন্ডিং খুব ভালো হয়েছে। দল ভালো পারফরম্যান্স করছে। শুধু গোলগুলো ছিল দুর্ভাগ্যজনক। একটা ডিফ্লেকটেড ছিল আরেকটা ওরা পেছন থেকে পুশ করেছে।“
এবার লেবাননের বিপক্ষে জিততে চান তিনি, “এই পারফরম্যান্স আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে। লেবাননের সঙ্গে ইতিবাচক খেলে লক্ষ্য থাকেবে জেতার।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই গোল পোস্টের নিচে ছিলেন মিতুল মারমা। তিনিও খুশি ম্যাচ শেষে, “এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য। ওরা বিশ্বকাপে খেলা দল। ওদের সঙ্গে খেলা কঠিন। তারপরও চেষ্টা করেছি সেরাটা দেওয়ার।”
শেখ মোরসালিন মেলবোর্নের প্রথম ম্যাচে ছিলেন না দলে । কিন্তু বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পেরে খুশি, “আমরা খুবই খুশি। সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু গোল হলে হয়তো ভালো লাগতো। আমাদের যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন কোচ সেভাবে করতে পেরেছি। দল হিসেবে সবাই ভালো করেছি। চেষ্টা থাকবে আরও ভালো করার। আজ যেভাবে লড়েছি তাতে যে কোনও মূল্যে লেবাননের সঙ্গে পয়েন্ট নিতে হবে।”