একদিন আগে এ মাঠে আগে ব্যাট করে ১৮২ রান করেছিল ভারত। তা দেখে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু নিজেদের দুর্বলতায় টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিন্ম স্কোরের লজ্জায় পড়তে হয় শ্রীলঙ্কাকে।
প্রোটিয়া পেসার এনরিখ নরকিয়ার দেয়া এক্সট্রা বাউন্সারগুলো সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তাই ১৯.১ মাত্র ৭৭ রানেই শেষ হয় লঙ্কান ইনিংস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হয়ে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নেয়া নরকিয়া। তার আগের সেরা ফিগার ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ রানে ৪ উইকেট।
ডি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে নেমে রেকর্ডও গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি মাঠে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হলো। এই ম্যাচের দুই প্রতিপক্ষ হিসেবে রেকর্ডের পাতায় থাকছে এ দুই দল।
তবে এই রেকর্ড ছাড়া এ ম্যাচ নিয়ে শ্রীলঙ্কার উচ্ছাস দেখানোর কিছুই নেই। টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিন্ম দলীয় রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো তারা। দলটির আগের সর্বনিন্ম রান ছিল ৮২ ভারতের সঙ্গে ২০১৬ সালে।
আসলে উইকেট পড়তেই ভুল করেছে শ্রীলঙ্কা। আগের ম্যাচে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি হয়েছিল চারটি ড্রপইন পিচের অন্যটিতে। মঙ্গলবারের ম্যাচটি হয়েছে আরেক পিচে।
নতুন পিচ কেমন আচরণ করবে তা দেখে নিতেই আগে বোলিং নেয়ার চিন্তা রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতলে বোলিং নিতেন এমন বলেছিলেন এইডেন মারক্রাম। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ঝুঁকি নিয়েই বিপদে পড়ল।
ডি গ্রুপের এই ম্যাচে বেশ ভালো ভাবেই নজর ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রথম ইনিংসের পর বাংলাদেশ খুশি হবে না নাখোস তা বোঝা দায়। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ধ্বস নাজমুল হোসেন শান্তদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। পরক্ষণেই সেই হাসি উড়ে যাবে প্রোটিয়া চার পেসারের তাণ্ডব স্মরণ করে।
ড্রপইন পিচে ভালো বাউন্স হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই একাদশে চার পেসার রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে নরকিয়া ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন। তিনটি উইকেটই নিলেন পিচ থেকে আদায় করা এক্সট্রা বাউন্সে। তাতে বড় শট খেলতে গিয়ে হাতে জোড় পাননি লঙ্কান তিন ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস (১১), কুশল মেন্ডিস (১৯) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (১৬)। এছাড়া চারিথ আসালাঙ্কা ব্যাটে বলে ভালো ভাবে সংযোগ করেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাউন্ডারী লাইনে হেনড্রিকসকে পেয়েছেন ৬ রান করে।
নরকিয়ার দাপটের মাঝে কেশব মাহারাজ এক ওভারে পরপর দুই বলে হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমাকে ফেরালে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারের কোমড় ভেঙ্গে যায়। চরম বিপদে পড়ে শেষদিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় আরও চাপে পড়ে একশও করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।