জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে। দলটির বিপক্ষে সিরিজ না জিতলে বিরাট ব্যর্থতাই ধরা হতো বাংলাদেশের জন্য। এই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ না করাটাও বড় ব্যর্থতা। তবুও সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে সেদিকে আর তাকাচ্ছে না বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সিরিজ এবার ঢাকায়। মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের আগে তাসকিন আহমেদ জানিয়ে গেলেন বাকি দুই ম্যাচে নিজেদের নতুন স্কিল পরীক্ষা করবেন।
প্রথম তিন ম্যাচে ম্যাচ কন্ডিশনে নিজেদের স্কিল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাননি তাসকিনরা। সিরিজ না হারার চাপ ছিল। এবার সেই চাপ নেই। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। শক্তি আরও বাড়িয়ে তাই বিশ্বকাপে চোখ রাখছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে নিজেদের নতুন শক্তিগুলো পরখ করে দেখবেন তাসকিনরা।
জয়ের লক্ষ্য প্রথম, সেই সাথে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা সম্পর্কে তাসকিন বলেছেন, “লক্ষ্য তো একই। যেখানেই খেলতে নামি, যাদের সঙ্গেই খেলতে নামি সর্বপ্রথম লক্ষ্য থাকে জেতা। আমি নিশ্চিত যে সবাই যার যে নতুন স্কিল আছে সেগুলো পরীক্ষা করার ভালো একটা সুযোগ এই দুইটা ম্যাচ। আমি নিশ্চিত আমরা সবাই সেটা চেষ্টাও করবো।”
সাকিব, মোস্তাফিজ দলে ফেরায় একাদশ ঠিক করা কঠিন হবে টিম ম্যানেজমেন্টর জন্য। এ দুজনকে জায়গা দিতে হলে গত তিন ম্যাচে খেলা দুই ক্রিকেটার সেরা একাদশ থেকে বাদ পড়বেন। আবার নতুন কম্বিনেশন দেখে নেয়ার চ্যালেঞ্জও আছে। সবদিক মিলিয়ে আজকের ম্যাচের একাদশ বাছাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তিন ম্যাচেই একাদশে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ওপরই খড়গটা পড়তে পারে। সাকিব দলে ফিরে বৃহস্পতিবার লম্বা সময় অনুশীলন করেছেন। সবার অনুশীলন শেষ হওয়ার পরও থ্রোয়ার নিয়ে একা একা ব্যাটিং করেছেন। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে সর্বোচ্চ ফিট করতে সাকিব এ দুই ম্যাচেও খেলতে চাই। তাই একাদশের বাইরে যেতে হতে পারে সাইফউদ্দিনকে।
এছাড়া মোস্তাফিজ ফিরে আসায় একজন পেসারও কমবে একাদশ থেকে। তানজিম হাসান সাকিবের ম্যাচ খেলার সুযোগ কম। ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা সৌম্য সরকারও খেলার মতো অবস্থায় আছেন। সেক্ষেত্রে তিন ম্যাচে বাজে পারফরম করা লিটন দাশ জায়গা হারাতে পারেন ওপেনিংয়ে।
এই টপঅর্ডারে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জটাই বেশি। গত তিন ম্যাচে শুরুর দিক থেকে বড় জুটি আসেনি। বাংলাদেশ দলও যে এ ব্যাপারে চিন্তিত তা জানিয়েছেন তাসকিন, “আমরাও বুঝতে পারছি আমাদের চাহিদা অনুযায়ী শুরু হচ্ছে না এবং এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আসলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা ছাড়া তো কোনো কিছু হাতে নেই। তো চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমি আশা করি সামনে আরও ভালো কিছু হবে এবং ইনশাল্লাহ এ দুটা ম্যাচে ভালো হবে।”
আইপিএলে এখন প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুইশো রান হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে এখন নতুন ধারা হয়ে উঠেছে ২০ ওভারে ২০০ রান। কিন্তু বাংলাদেশ গত তিন ম্যাচের একটিতে আগে ব্যাট করে ১৬৫ রান করেছে। আর বাকি দুটোতে ১৪০ রান মতো রান তাড়া করতে ১৮-১৯ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে।
তাসকিন জানালেন আইপিএলের পিচ আর বাংলাদেশের পিচ আলাদা। তবে রান যেমনই হোক কষ্ট করেই জিতেছে বাংলাদেশ, “আইপিএলের কন্ডিশন আর এখানের কন্ডিশন ভিন্ন। প্রতিপক্ষও ভিন্ন। বাংলাদেশে তুলনামূলক ভাবে হাই স্কোরিং ম্যাচ একটু কমই হয়। দেখুন হয়তো তুলনামূলক ভাবে আইপিএলের তুলনায় জিম্বাবুয়ে একটু দুর্বল। তবে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলেই জিততে হচ্ছে।”
ভালো ক্রিকেট অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যাটাররা জ্বলে উঠার তাগিদ ক্রীড়াপ্রেমীদের। রান না হলে বিশ্বকাপেও যে ভরাডুবি অপেক্ষা করছে।
