নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন। তার অভিযোগ, প্রশাসন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয় পেতে সহায়তা করছে।
জাতীয় পার্টির পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আলমগীর সিকদার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “দেশজুড়ে ১১৭টি কেন্দ্র থেকে জাতীয় পার্টির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারার উৎসব চলছে। এ নির্বাচনে থেকে কী করব? আমি নির্বাচন বয়কট করছি।”
নিরপেক্ষ ভোট হবে ভেবে অংশ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এরকম হবে জানলে কখনো নির্বাচন করতাম না।”
আলমগীর সিকদারের অভিযোগ, সকাল ১০টার দিকে তারা জানতে পারেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা প্রশাসনের সহযোগিতায় জাল ভোট দিচ্ছেন। জাতীয় পার্টির সমর্থকরা সেখানে যান এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেন।
সে সময় পুলিশের সঙ্গে দলটির সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও ছররা গুলি ছোড়ে। এতে পাঁচজন আহত হয়।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, সকালের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ব্যালট বাক্স ভাঙচুর, ব্যালটে জোর করে সিল দেওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়।
ভোটের দিন সকাল ১০টার দিকে সাময়িকভাবে এবং পরে সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্র দুটি পুরোপুরি বন্ধ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
তিনি জানান, সকালে আড়াইহাজারের ৫৬ নং রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী ও পুরুষ কেন্দ্র দুটিতে গোলযোগ হওয়ায় ভোট নেওয়া বন্ধ করা হয়।
নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে নানা অভিযোগ এনে রবিবার পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ৩১ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের আলমগীর সিকদার লোটনের আগে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নরসিংদী-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রফিকুল আলম সেলিম।