বীরেন্দর সেবাগকে প্রথমে চিনতেই পারেননি সাকিব আল হাসান। প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগেই বলে উঠলেন – “হু” (কে?)। পরে অবশ্য বুঝেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। আধুনিক যুগে কে কাকে নিয়ে কি বলল তা জানতে খুব বেশি সময় লাগে না। সাকিবও জেনেছেন সাবেক ভারত ওপেনার তাকে নিয়ে কি বলেছেন। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বেশ ভদ্র ভাবেই উত্তর দিলেন সাকিব।
ব্যাটে রান নেই, বল হাতে উইকেট নেই। এমন অবস্থায় বাইরের সমালোচনাকে খারাপ হিসেবে দেখছেন না সাকিব। বলেছেন, “একজন ক্রিকেটার কখনও কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে আসে না। তার কাজ সে যদি ব্যাটার হয় দলের জন্য অবদান রাখা, বোলার হলে উইকেট নেয়া, উইকেট পাওয়ায় ভাগ্যের সহায়তাও লাগে, ফিল্ডার হলে যতগুলো ক্যাচ তার কাছে যায় সবগুলো ধরা। এখানে কাউকে উত্তর দেয়ার কিছু নেই। নিয়মিত খেলছেন এমন একজন ক্রিকেটারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো দলে অবদান রাখা। যখন সে ওটা করতে পারবে না তখন তাকে নিয়ে কথা হওয়া আমি মনে করি খারাপ কিছু না।”
তাহলে সমালোচনা-আলোচনার সময়ই কিভাবে দারুণ কামব্যাক করেন সাকিব। এই রহস্যর উত্তর সাকিব সহাস্যে দিলেন এভাবে, “আল্লাহ আমার প্রতি সবসময় অনেক দায়বান। এরকম মুহূর্ত যখনই আসে আল্লাহ ভালো কিছু দিয়ে দেয়।”
পাশাপাশি উইন্ডিজে পা রেখেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন সাকিব। এই সেন্ট ভিনসেন্ট থেকেই নেতৃত্ব শুরু করেছিলেন। ওই সিরিজে সেরাও হয়েছিলেন। উইন্ডিজে আছে তার টি-টোয়েন্টির সেরা বোলিং। ক্যারিয়ার জুড়ে ভালো কিছু ছিল বলে উইন্ডিজে ভালো করার আত্মবিশ্বাস পেয়ে যান সাকিব। বলেছেন, “উইন্ডিজ আমার জন্য অনেক ভালো কিছু নিয়ে এসেছে। আমার ক্যারিয়ারে তাকালে দেখা যাবে উইন্ডিজে আমার অনেক ভালো স্মৃতি আছে। স্বাভাবিক ভাবেই আত্মবিশ্বাস কাজ করছিল যে এই একটা জায়গায় আমি ভালো কিছু পাবো।”
দল জেতায় খুশি সাকিব। নিজে অবদান রাখতে পেরেও খুশি। এবার নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়ে সুপার এইট আনুষ্ঠানিক ভাবে নিশ্চিত করতে চান। বাংলাদেশের সেই ম্যাচটি ঈদুল আজহার আগেরদিন। ম্যাচটি জিতে দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিতে চান সাকিব।