Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে ৩ মাস

২৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ থাকবে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা কার্যক্রম। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
২৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ থাকবে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা কার্যক্রম। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত এই হ্রদে মাছ ধরা যাবে না।

এই তিন মাস হ্রদের মাছ বাজারজাতসহ স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক বৈঠক শেষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এসব নির্দেশ দিয়েছে।

প্রায় ৬৮ হাজার ৮০০ হেক্টর আয়তনের এই হ্রদটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলাধার হিসেবে পরিচিত। দেশের মিঠাপানির মাছের বেশ বড় উৎস এই হ্রদ।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।

বৈঠশ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমতে থাকায় নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বল্প পানিতে মাছ ধরলে হ্রদের ছোট মাছ ব্যাপকহারে ধরা পড়ে। যার ফলে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও উৎপাদনে ভাটা পড়ে।

সাধারণত প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। তবে গত বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের ১২দিন আগেই বন্ধ করা হয় মাছ আহরণ।

এরপর তিনমাসের নির্ধারিত সময়ে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বৃদ্ধি না পাওয়ায় দুই দফায় আরও ১ মাস ১২ দিন বাড়ানো হয় বন্ধের সময়। ৪ মাস ১২ দিন মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে ফের মাছ আহরণ শুরু হয়।

গতবারের মতো এবারও নির্ধারিত সময়ের ছয়দিন আগেই মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্রের প্রধান ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার, রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়াসহ মাছ ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) তথ্য অনুযায়ী, কাপ্তাই হ্রদে উৎপাদিত মাছের ৯০-৯৫ শতাংশই ছোট প্রজাতির। যার মধ্যে কেচকি, চাপিলা ও মলা মাছের আধিক্য রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের রক্ষণাবেক্ষণ ও মাছ চাষের দায়িত্বে রয়েছে বিএফডিসি।

সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রজাতিভিত্তিক মৎস্য বিবরণীতে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ছোট-বড় মোট ৪৪ প্রজাতির মাছ আহরণের তথ্য রয়েছে। এরমধ্যে ২৭ প্রজাতি বড় মাছ ও ১৭ প্রজাতির রয়েছে ছোট মাছ।

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাউখালী ছাড়া বাকি আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এবং মহালছড়ি উপজেলা মিলে কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল জেলের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত