কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার কারণে টানা চার দিন সারাদেশে কারফিউ চালিয়ে যাওয়ার পর তা শিথিল করছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার শুধু ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ অব্যাহত থাকবে। তাও সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তা শিথিল থাকবে।
অন্য জেলাগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, বাকি জেলাগুলোতে কারফিউয়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিলে বিজিবি নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে গত শুক্রবার কারফিউ বা সান্ধ্য আইন জারি করে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করে সরকার।
সহিংস আন্দোলনে শতাধিক মৃত্যুর পর সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত আসে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ক্ষমতাবলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মহানগর এলাকার পুলিশ কমিশনাররা সান্ধ্য আইন জারি করেন।
প্রথম দফায় শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত একটানা কারফিউ চলে। এরপর দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে রবিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল ছিল। এরপর দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার কারফিউ শুরু হয়।
সোমবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা বিরতি ছিল। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতি ছিল।
কারফিউর মধ্যে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে নিষেধ করা হয়। অপ্রয়োজনে বের হয়ে ধরা পড়লে শাস্তির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
অ্যাম্বুলেন্সসহ সব জরুরি সেবার কর্মী ও বাহন, খাদ্য ও জ্বালানি পরিবহনকারী বাহন, সংবাদমাধ্যমের কর্মী ও বাহন কারফিউর মধ্যেও চলতে পারবে বলে জানানো হয়।
কারফিউ জারির পর রবি, সোম ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। বুধবার আবার অফিস খুলছে। তবে অফিস সময় ঠিক হয়েছে সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা। ওই সময় কারফিউ শিথিল থাকবে।