প্রচণ্ড তাপদাহে নাকাল ঢাকাবাসী। এর মাঝেই ঢাকার তিনটি মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে নামতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। তাদের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বিসিবি। একেক রাউন্ডের মাঝে বিরতি বাড়ানো, ড্রেসিংরুমে এসি সচল রাখা….এই রকম।
কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এই গরমে বেঁচে থাকার উপায় কি! বুধবার ক্রিকেটারদের জন্য তা জানানোর ব্যবস্থাও করল বিসিবি। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) – এর পাবলিক হেল্থ বিভাগের শিক্ষকরা দিয়েছেন সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির এই বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ ওয়াসিফুল আলমের তত্ত্বাবধানে হওয়া এই সেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার লিগে খেলা ১০টি ক্লাবের ফিজিও, বিসিবির একজন চিকিৎসক, গেম ডেভেলপমেন্টের প্রতিনিধি ও যুব ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করা একজন বিদেশি কোচ।
এই সেশনে মূল ক্রিকেটাররা কীভাবে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়িয়ে খেলতে পারেন তা বোঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সকালসন্ধ্যাকে সেশনে উপস্থিত থাকা এআইইউবির এমপিএইচ প্রোগ্রাম অফিসার তাসনিয়া জান্নাত জানিয়েছেন, “পাবলিক হেলথের মূল কাজ হলো সচেতনতা তৈরি করা। অ্যাথলেটরা যেন হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারে মূলত এটা নিয়েই আজকের ওয়ার্কশপটা ছিল।”
এই সচেতনতায় কি পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে তাসনিয়া জানিয়েছেন, “আজকের ওয়ার্কশপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল হিট স্ট্রোক হয়ে কেউ অচেতন হলে তাকে পানি না খাওয়ানো। মুখে পানি ছিটানো বা চিকিৎসককে জানানো। এছাড়া গরম থেকে বাঁচতে প্রস্রাবের রং নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া স্টেডিয়ামে ছাউনি দেয়ার ব্যাপারেও দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্কটিলের ছাউনির চেয়ে পাতলা কাপড় বা যথেষ্ট বাতাস পাস হওয়ার মতো উঁচু শেড দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।”
সেশন নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন এই সচেতনতাগুলো সব দলের জন্যই কার্যকর হবে, “আমরা প্রত্যেক ক্লাবের ফিজিও ও ট্রেইনার ডেকেছি। এখানে জাতীয় দল বা ক্লাব দল বলে কিছু নেই। এটা সব দলের জন্যই সমান থাকবে। যে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে সেটা সবাই মানতে পারে। পার্থক্য হলো ক্লাবের দলগুলোর চেয়ে এগুলো মেনে চলা জাতীয় দলের জন্য অনেক সহজ।”