কানপুর টেস্টের অপেক্ষার পালা যেন শেষ হচ্ছেই না। টেস্টের তৃতীয় দিন অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে চা বিরতি পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল। শেষ পর্যন্ত ভেজা আউটফিল্ডের জন্য পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় তৃতীয় দিনের খেলা।
ভারতে রবিবার ছুটির দিন। তাই খেলা দেখতে অনেক সমর্থকই মাঠে উপস্থিত। কিন্তু খেলা হওয়ার খোঁজ নেই। সকাল ১০টায় প্রথম পর্যবেক্ষণের পর আম্পায়াররা ঘোষনা দেন বেলা সাড়ে ১২টায় পরবর্তী পর্যবেক্ষণ হবে। এরপর মাঠে নেমে মাঠের ভেজা অংশের বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করে আরও দুই ঘন্টা অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেন।
তৃতীয় দফায় মাঠ পরিদর্শনের পর কোনো বল মাঠে গড়ানোর আগেই আম্পায়াররা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তৃতীয় দিনের খেলাও । ভারত-বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা হোটেল থেকে মাঠেই আসেননি। দুই দলকেই জানানো হয়েছিল আউটফিল্ড ভেজা থাকায় শুরু করা যাচ্ছেন না খেলা। শেষ পর্যন্ত আর মাঠে আসতে হল না তাদের।
রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি ছিল না। তবুও মাঠ না শুকানোর কারণ বাজে পনি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। বাংলাদেশে মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চেয়েও বাজে ফিল্ড এই কানপুর। এজন্যই তৃতীয় দিন খেলা পরিত্যক্ত হলো কোনো বল মাঠে না গড়িয়ে।
খেলা শুরুর আশা, তবে প্রথম সেশনের পর
কানপুর টেস্টে অবশেষে খেলা শুরুর আশা মিলছে। তৃতীয় দিন সকাল থেকে কোন বৃষ্টি ছিল না স্টেডিয়াম এলাকায়। তবে শনিবার পুরোদিন বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ একেবারে ভেজা ছিল। সেই মাঠ শুকানোর অপেক্ষা এখনও।
আশার কথা তৃতীয় দিন সকালে মাঠের সব কাভার তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন আর বৃষ্টি নেই। সকাল ১০টায় মাঠ পর্যবেক্ষণে এসে আম্পায়াররা আউটফিল্ডের বিভিন্ন জায়গা দেখেছেন। পরের পর্যবেক্ষণের জন্য বেলা সাড়ে ১২টায় আবার মাঠে আসবেন আম্পায়াররা। তার মানে টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনও ভেস্তে গেল।
দুইদিনের বৃষ্টিতে কানপুর টেস্ট নেমে এল তিন দিনে। এক সেশন ভেস্তে যাওয়ায় সময় আরও কমেছে। তাতে বাংলাদেশের জন্য সুবিধাই হলো। টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করেছে সফরকারীরা। মুমিনুল হক ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩০০ রান করলেও টেস্টে দারুণ অবস্থানে থাকবে।
বৃষ্টিতে কাভারে ঢাকা পিচে ব্যাট করা ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের জন্য কঠিন হবে। তাছাড়া ভারত এই টেস্টে শেষ ইনিংসে ব্যাট করবে। যা আরও চ্যালেঞ্জিং। বৃষ্টি তাই বাংলাদেশের জন্য সুবিধাই নিয়ে এল।