Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

গোঁজামিলের বিপিএল-২ : তবু বিদেশি বিনিয়োগে অনীহা বিসিবির

বিপিএলের বাইরে জাতীয় লিগের দলগুলো এমন উৎসবে মাতার সুযোগ পাচ্ছে। ছবি : ফাইল ফটো
বিপিএলের বাইরে জাতীয় লিগের দলগুলো এমন উৎসবে মাতার সুযোগ পাচ্ছে। ছবি : ফাইল ফটো
[publishpress_authors_box]
বিপিএল-এর বয়স হয়ে গেছে এক যুগ। কিন্তু যেভাবে শুরু হয়েছিল, দশম আসরে এসেও সেই জরাজীর্ণ চেহারা তার। অনাকর্ষণীয় ও অলাভজনক টুর্নামেন্টে দলগুলোর অনীহার পাশাপাশি এটি দেশের ক্রিকেটেও তেমন অবদান রাখতে পারছে না। এখান থেকে বের হয়নি বৈশ্বিক মানের কোনো হার্ড হিটার ব্যাটার। এরপরও এটা চলছে গোঁজামিল দিয়ে। অথচ দেশের ক্রিকেটকর্তাদের চোখে আইপিএলের পর সবচেয়ে জমজমাট বিপিএল! এই জমজমাট (!) টুর্নামেন্টের ময়নাতদন্ত করেছেন সকাল সন্ধ্যার রাহেনুর ইসলাম। তিন পর্বের ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে (আজ) মঙ্গলবার।

বিপিএলকে নানা নামে ডেকে উপহাস করেন অনেকে। কেউ বলেন বাংলাদেশ প্রবলেম লিগ, কেউ বাংলাদেশ বিতর্ক লিগ তো কারও কাছে এটা বিপিএল কাপ। বিতর্ক, অপেশাদারিত্ব একেবারে শুরু থেকেই সঙ্গী এই টুর্নামেন্টের।

২০১২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ পরিচালনার জন্য ৬ বছর মেয়াদে ৩৫০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল গেম অন স্পোর্টস গ্রুপের সঙ্গে। ভুইফোঁড় এই প্রতিষ্ঠানের হাতে ছিল বিপিএল পরিচালনা, ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রিসহ সবকিছুর দায়িত্ব। কিন্তু ক্রিকেটারদের পাওনা বকেয়া, ম্যাচ পাতানো, নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় তাদের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করতে বাধ্য হয় বিসিবি।

আইপিএলের বিজনেস পেপার চুরি

২০১২ সালে প্রথম বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ছিলেন বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর। বিপিএল সফল করতে আইপিএলের বিজনেস পলিসি পর্যন্ত কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এতদিন পর সেই কথাটা হাসতে হাসতেই জানালেন সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, ‘‘আইপিএলের বিজনেস পেপার আমরা একরকম চুরি করেই এনেছিলাম। আইপিএল কমিটিতে চাকরি করা একজনকে আমরা ধরেছিলাম। ওই কাগজ এনে দেওয়ার জন্য তাকে পাঁচ হাজার ডলার সম্মানী দেই। নিয়তি দেখুন, আইপিএল এখন খরগোশের মত ছুটছে আর আমরা কচ্ছপের মত চলছি।’’

নিলামে আকাশ ছোঁয়া দাম

বিপিএলের প্রথম দুই আসরে আইপিএলের মতই আয় ভাগাভাগির ব্যাপার ছিল। আইপিএলকে টেক্কা দিতে বাংলাদেশের বাজারের সঙ্গে বেমানান দামেও কেনা হয়েছিল ক্রিকেটার। ছয় স্থানীয় আইকন খেলোয়াড়ের দাম ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১০ হাজার ডলার করে।

 ২০১২ সালে ‘এ’ শ্রেণির বিদেশি ১৮ খেলোয়াড়ের ভিত্তিমূল্য ছিল ১ লাখ ডলার। নিলামে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিলেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। স্থানীয় আইকন খেলোয়াড়ের বাইরে সর্বোচ্চ ২ লাখ ডলারে বিক্রি হন নাসির হোসেন। এগুলো ছিল টেবিলের অঙ্ক, বাস্তবে খেলোয়াড়দের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হেয় হতে হয় বিসিবিকে। পরে দায়িত্ব নিতে হয় বিসিবিকেই।

এবারও নিলামে পছন্দের খেলোয়াড় বেছে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ছবি: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফেইসবুক

এই ডামাডোলে ২০১৪ সালে বিপিএলই আয়োজন করা যায়নি। নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেয়া হলেও টুর্নামেন্টটি স্থিতিশীলতা পায়নি। লভ্যাংশ না দেওয়ায় দলের মালিকদের ক্ষতি হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। তাই কেউ এক মৌসুম তো কেউ দুই-তিন মৌসুম থেকে কেটে পড়েছেন। কোন মালিক অনুরোধে ঢেঁকি গিলেছেন তো কখনো রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতাও দল কিনেছিলেন কেউ।

শুধু ভালোবাসায় আর কতদিন

বিপিএলে এক মৌসুমে একটি দল পরিচালনার খরচ অন্তত ১০ কোটি টাকা। এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে একটা সময় ৩০-৩৫ কোটি টাকা লাভ হলেও ডলারের দাম বাড়ায় এখন সেটা কমার কথা জানিয়েছেন বিসিবি কর্তারা। দলের মালিকদের এই লাভের এক টাকাও দেয়নি বিসিবি। শুধু টিম স্পন্সর থেকে ১০ কোটি টাকা আয় করা অসম্ভব বলে বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দেন দলের মালিকানা।

আগামীতে লাভের ভাগ না দিলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়তে চান আরও অনেকে। তারপরও বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন শুধু ভালোবাসা আর ক্রিকেট প্রেম দিয়ে ধরে রাখতে চান তাদের।

বিপিএল শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজামউদ্দিন চৌধুরি বলেছিলেন, ‘‘লভ্যাংশ ভাগের জন্য অন্য দেশের যে লিগগুলোর কথা বলা হচ্ছে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বা অন্যান্য আর্থিক কাঠামো অনেক উপরে। আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব নয়।”

নিজামউদ্দিনের কথাতেই স্পষ্ট লভ্যাংশ নয় শুধু ভালোবাসা দিয়ে মালিকদের ধরে রাখতে চায় বিসিবি। এরপরও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামাল জানিয়ে দিয়েছেন, লভ্যাংশ না দিলে আগামীবার তার দল বিপিএলে থাকবে না।

রংপুর রাইডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক সাদেকও চান লভ্যাংশ, ‘‘আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি লভ্যাংশের ব্যাপারে বলতে বলতে। আইএল টি-টোয়েন্টি বা পিএসএলে প্রতিটি দলকে পাঁচ-সাত কোটি টাকা করে দেওয়া হয় আয় থেকে। আমাদের অল্প দিয়েই শুরুটা করুক।’’

বিতর্কিত মালিকানা

২০১৫ সালে নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব দেয় বিসিবি। বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ডিবিএল এর মতো শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করে সে সময়। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে পরে সরে যায় বেক্সিমকো ও ডিবিএল। বসুন্ধরা সরে দাঁড়ালেও পরে ফিরে এসেছে।

ব্যবসায়িকভাবে আকর্ষণীয় না হওয়ায় বিপিএলে দলগুলোর মালিকানা গেছে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তির হাতেও। প্রথম দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়টর্সের মালিক সেলিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। বিপিএলের প্রথম আসরের দল সিলেট রয়্যালসের মালিকানায় থাকা মিজানুর রহমান ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার হন প্রতারণার মামলায়।

এরকম বিতর্কিত আরও অনেককে বিপিএলের মালিকানা দেওয়া নিয়ে প্রথম আসরের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, ‘‘আমরা শুরুতে বড় কিছু গ্রুপের কাছে গিয়েছিলাম। তারা রাজি হয়নি। তাই টুর্নামেন্টটা চালু করার জন্য এ ধরনের কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির কাছে মালিকানা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’’

অচল দেশীয় ‘স্টাইল’

বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশীয় স্টাইলে বিপিএল চালাতে চাই’’।

এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কিট ব্যাগ মিরপুরে পৌঁছায় ভ্যানে করে (বাঁয়ে।)। অন্যদিকে বাক্স জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তামিম ইকবালের সংবাদ সম্মেলনের পোডিয়াম (ডানে)।

সেই দেশীয় ‘স্টাইলে’ চলতে যেয়ে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কিছু বাক্স জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তামিম ইকবালের সংবাদ সম্মেলনের পোডিয়াম। বিপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কিট ব্যাগ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেখা গেছে ভ্যানে করে। একটা সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাসগুলোয় তারকাদের ছবি থাকলেও, এবার কোনো বাসের গায়েই কোনো দলের ব্র্যান্ডিং নেই। সিলেটে পৌঁছে একটা দল তো ক্রিকেটারদের প্রতিবাদে বদলে ফেলেছে হোটেলই!

গত দুই বিপিএলে শুরুতে ডিআরএস না এনে প্রশ্নের মুখে পড়ে বিসিবি। এর বদলে আনা হয় এডিআরএস বা অলটারনেটিভ (বিকল্প) ডিসিশন রিভিউ পদ্ধতি। তবে এডিআরএস নতুন বিতর্ক জন্ম দেওয়ায় এর কার্যকারীতা নিয়ে উঠেছিল বড় প্রশ্ন।

এমন জোড়াতালি আর গোঁজামিলের বিপিএল হচ্ছে বছরের পর বছর। তাই এই টুর্নামেন্ট থেকে বিসিবি যেখানে ৮০-১০০ কোটি টাকা লাভ করতে পারত, সেখানে সন্তুষ্ট থাকছে অল্পেই। এতদিনেও গড়ে উঠেনি হোম-অ্যাওয়ে খেলার অবকাঠামো। অপরিকল্পিত টুর্নামেন্ট থেকে বের হচ্ছে না খেলোয়াড়ও। তাহলে এই দেশীয় স্টাইলে টুর্নামেন্টটা করার মানে কি?

বিদেশি বিনিয়োগে দুর্দান্ত লিগ

ভারতীয় ফ্যাঞ্চাইজিগুলোকে বৈশ্বিকীকরণের পথটা দেখিয়েছিল শাহরুখ খানের মালিকানাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৫ সালে তারা কিনে নিয়েছিল সিপিএলের দল ত্রিনিদাদকে। শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে গত কয়েক বছরে বেড়েছে সিপিএলের সমর্থকগোষ্ঠী, টিভি সম্প্রচার ও লভ্যাংশ। ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ছিল ভারতীয় কোম্পানি হিরো হোন্ডা।

সিপিএলের ওয়েবসাইটেই আছে, ২০২২ সালে ৭০০ মিলিয়ন ভিউয়ের এই টুর্নামেন্টের জন্য ক্যারিবীয়ান অঞ্চলে ২০০ মিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের কথা।

দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এসএ২০’র ছয় দলই কিনে নিয়েছে আইপিএলের দলগুলো। তাতে এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি এখন আইপিএলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ কোটি টাকা।

বিদেশি অর্থায়নে অনীহা বিসিবির (প্রতীকী ছবি)

পিএসএলে ২৬ মিলিয়ন ডলারে ১০ বছরের জন্য করাচির ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনা এআরওয়াই গ্রুপ দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ২৫ মিলিয়ন ডলারে লাহোরের স্বত্ত্ব কিনেছে কাতার ওয়েল। শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনেছে আরব আমিরাতের জমজমাট আইএল২০ লিগের দল আবুধাবি নাইটরাইডার্স।

আইপিএলের জনপ্রিয়তার জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই টুর্নামেন্টে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব।

তবে বাংলাদেশের অনীহা

বিপিএলেও এরকম পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহী ভারতীয় অনেক কোম্পানি। তবে বিসিবি বিদেশি বিনোয়াগ চায় না। এর কারণ হিসেবে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এবারের বিপিএল শুরুর আগে বলেছেন, ‘‘আসতে চায় না বা না আসার কোনো কারণ নেই। তারা অনেকবারই আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছিল। বোর্ডের সিদ্ধান্ত এরকমই যে আমাদের টুর্নামেন্টটাকে আমাদের দেশীয় স্টাইলেই চালাতে চাই। আমরা এরকম কোনো কিছু করতে চাই না যে টুর্নামেন্টের রাইটসটা আমাদের হাতে থাকবে না।”

বাইরের কারও কাছে ‘স্বত্ব’ চলে যাওয়ার পরও মোটা অঙ্কের লাভের মুখ দেখেছে সিপিএল আর এএসএ২০। তাহলে বিপিএলের স্বত্ব গেলে সমস্যা কোথায়? বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বিদেশি বিনিয়োগে সমস্যার জায়গাটা স্পষ্ট করেছেন এভাবে, “আমাদের কাছেও বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব আসে। যেমন ভারত থেকে প্রস্তাব পাই, কিন্তু তাতে সাড়া না দেওয়ার প্রধান কারণ হলো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের শঙ্কা। তবে সিলেটের টিমের মালিক প্রবাসী বাংলাদেশী। এরকম কেউ আগ্রহী হলে সমস্যা নেই।”

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এমএম আকাশ সকাল সন্ধ্যাকে বললেন, ‘‘বিসিবি কেন বিদেশি বিনিয়োগে আগ্রহী নয় আমি জানি না। কিন্তু আমি কোন সমস্যা দেখছি না। আমাদের দেশে ক্রিকেট নিয়ে প্রচুর উন্মাদনা হয়, তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এসে প্রথমেই চেষ্টা করেছেন সৌদি আরবের আরও বেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর। অথচ বিপিএল বিদেশি বিনিয়োগে অনীহা দেখাচ্ছে?”

দেশ যখন বিদেশী বিনিয়োগের জন্য দুয়ার খুলে দিচ্ছে তখন বিসিবি রক্ষণশীল মানসিকতা নিয়ে সেই দুয়ার বন্ধ করে রেখেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত