Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চলে গেলেন পাকিস্তান দলের বাঙালি ফুটবলার

Screenshot 2024-01-06 163232
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলে গেলেন পঞ্চাশ-ষাটের দশকের কিংবদন্তি ফুটবলার জহিরুল হক। বর্তমান প্রজন্ম সেভাবে জহিরুল হককে নাও চিনতে পারেন। কিন্তু এক সময়ে এই ফুটবলার খেলেছেন পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় দলে। ছিলেন মোহামেডানের পাঁচ বারের অধিনায়ক। মূলত তিনি খেলতেন রাইট ব্যাক পজিশনে।

সেই কিংবদন্তি ফুটবলার জহিরুল হক ৮৯ বছর বয়সে আজ শনিবার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। মাগরিবের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ফার্মগেট খেজুর বাগান মসজিদে।

১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সালে তিনি খেলেছেন তেজগাঁও ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবে। এরপর সেন্ট্রাল প্রিন্টিং অ্যান্ড স্টেশনারি ক্লাবে খেলেন ১৯৫৭-৫৮ সালে। মোহামেডানে খেলেছেন ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। পূর্ব পাকিস্তান দলের হয়ে খেলেন ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত। তিনি খেলেছেন মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে ১৯৬২ সালে। ওই বছরই খেলেন জাকার্তায় এশিয়ান অলিম্পিকে। ১৯৬৪ সালে চীনে স্বাধীনতা দিবস টুর্নামেন্টে পূর্ব পাকিস্তান থেকে খেলা একমাত্র ফুটবলার তিনিই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মেছিলেন জহিরুল হক।

জহিরুল হকের যত অর্জন

চারবার আগা খান গোল্ডকাপের ফাইনালে খেলা গর্বিত ফুটবলার জহিরুল হক। মোহামেডানের হয়ে দুবার চ্যাম্পিয়ন। মূলত মোহামেডান ক্লাবেই নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাকে বলা হয় মোহামেডানের জহির। বাকি দুবার সেন্ট্রাল প্রিন্টিং অ্যান্ড স্টেশনারি ও সেক্রেটারিয়েট দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার হন জহিরুল হক। তাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয় ২০০১ সালে।

১৯৭৬ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেন জহির। খেলা ছাড়ার পর মোহামেডান ও ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না। পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকা জহির গত কয়েক বছর বেশ অসুস্থ অবস্থায় কাটিয়েছেন।

যে রেকর্ড নেই আর কারো

রক্ষণে থাকলে যে কোনো স্ট্রাইকারই নাকি ভাবতেন, ‘জহির ভাই আছে। সহজে গোল করা যাবে না।’ কুয়ালালামপুরে পূর্ব পাকিস্তান থেকে একাই পাকিস্তান দলে প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে। চোট ছাড়া কখনো দল থেকে বাদ পড়েননি। সেই জহিরুল হক আজ জীবনের খেলা থেকেই পুরোপুরি বিদায় নিলেন।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত