Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

চায়ের চুমুকের মালিকসহ আটক ৩

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।
[publishpress_authors_box]

ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জিসান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খ. মহিদ উদ্দিন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের আটতলা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রাথমিকভাবে সে এলাকায় দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট উপস্থিত লোকজনকে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

“এরপর ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিটের প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।”

তিনি আরও বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর শনাক্ত না হওয়া ছয় জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু।”

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “শুধু ব্যবসায় লাভের কথা নয়, মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করতে হবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আটককৃত তিনজন ছাড়াও ভবন মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হবে।”

সকলে যেন ‘সেইফটি ফার্স্ট’ নীতি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন সে অনুরোধও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাইসহ বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান, মোবাইল ফোন ও কাপড়ের দোকান ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত