আর মাত্র ৯ টি রান দরকার ছিল। এই সময় মোহাম্মদ আলির এক্সট্রা বাউন্স হওয়া বলটি মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে চলে গেলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। অশেষ আক্ষেপ নিয়ে মাথা নিচু করে হতাশা প্রকাশ করছিলেন মুশফিক।
এই হতাশা শুধু তার নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের সবার। ১৯১ রানে ব্যাট করতে থাকা মিস্টার ডিপেনডেবলের আরেকটি দ্বিশতক দেখতে চেয়েছিল সবাই। তা আর হয়নি। আক্ষেপ ছড়িয়ে দেড়দিনের লড়াই থামল মুশফিকের। ২২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪১ বলে ১৯১ করেছিলেন তিনি।
এর আগে ২০২২ সালে আরও একটি দ্বিশতকের সামনে ছিলেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে ১৭৫ রান করেছিলেন। দুর্ভাগ্য ছিল তার, অপরাজিত থাকলেও অপরপ্রান্তে সঙ্গী ছিলেন না। তাই মুশফিকের সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করার সুযোগ ছিল না।
কিন্তু রাওয়ালপিন্ডিতে ছিল। নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য মুশফিক আউট হওয়ার পরও ইনিংস ঘোষণা করেননি। তবে মুশফিকের আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল তার দ্বিশতকের অপেক্ষাই করা হচ্ছে।
এর আড়ে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ২০১৮ সালে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে এই ভেন্যু মিরপুরে ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর প্রথম দ্বিশতক ছিল ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ২০০ রান। বিশ্বে তিনটি দ্বিশতক করা একমাত্র কিপার ব্যাটারের রেকর্ড এখনও মুশফিকের।
এই ইনিংসে বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ২৩৭৬ রান এখন মুশফিকের। তার ক্যারিয়ারের মোট রান ৫৮৬৭। ৬ হাজারের মাইলফলক ছুঁতে মুশফিকের আর ১৩৩ রান চাই।