ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় হার হজম করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গে ছিল। তবুও বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তিদের তাদের মাটিতে হারানোর স্বপ্নটা বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে অতি উৎসাহীরাই দেখেছে।
সেই স্বপ্ন প্রথম টেস্টে সত্যি হয়নি। চেন্নাইয়ে ২৮০ রানের বড় হার ভারতের সঙ্গে নিজেদের ক্রিকেটের পার্থক্যটা বুঝিয়েছে। সেই অবস্থাটা সামনে রেখেই ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। অতীত ভুলে তাকাতে হচ্ছে ভবিষ্যতে।
কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এখনই নজর দিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম টেস্ট থেকে পাওয়া ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগাতে চান ওই টেস্টে। শান্তর কাছে এই টেস্টের ইতিবাচক দিক হলো পেস বোলিং আর দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের ব্যাটিং।
টেস্টের প্রথম দিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশ পেসাররা। তাতে প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। ওই অবস্থা থেকে বরিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার ১৯৯ রানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
ওই বোলিংটাই কানপুরে ফেরাতে চান শান্ত। ম্যাচ শেষে বলেছেন, “প্রথমদিন আমাদের পেসাররা দারুণ বল করেছেন। ওই সময় মনে হচ্ছিল আমরা ভালো অবস্থানে। কিন্তু ভারত পাল্টা আক্রমণ করায় আমরা পিছিয়ে যাই। কিন্তু পেসাররা এই টেস্ট জুড়ে যেভাবে বল করেছে তা আমাদের দ্বিতীয় টেস্টে আত্মবিশ্বাস দেবে।”
শান্তর মতে বরাবরের মতো ব্যাটিংটাই ডুবিয়েছে তাদের, “আমরা প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাট করতে পারিনি। ওই সময়টা ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল। আমরা ২০-৩০ রান পাচ্ছি কিন্তু এরপর আউট হয়ে গেছি। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ভুল হয়েছে। আমরা এটা নিয়ে অনুশীলনে কাজ করবো। যেন কানপুরে এই ভুলটা কাটিয়ে উঠতে পারি।”
দ্বিতীয় ইনিংসে বাকি ব্যাটাররা ইনিংসের শুরু পেয়েও তা টেনে নিতে ব্যর্থ হন। কিন্তু অধিনায়ক নিজে ছিলেন ব্যতিক্রম। ১২৭ বল করে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। সামনেও এই রকম আত্মবিশ্বাসী ইনিংস উপহার দিতে চান।
শান্ত বলেছেন, “এই রকম কঠিন কন্ডিশনে আমি এভাবেই ব্যাট করি। চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করা খুব কষ্টের ছিল। সিরাজ বেশ ভালো বল করছিল। কিন্তু আমি আমার পরিকল্পনায় অটুট ছিলাম – বাজে বল মারব, ভালো বল রক্ষণাত্মক খেলবো। গতকালও একই পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করেছি। আশাকরি কানপুর টেস্টে এই ইনিংস আমাকে সাহায্য করবে।”
চেন্নাই থেকে পেসারদের বোলিং, শান্তর ব্যাটিং এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনারদের শুরুটা বাংলাদেশের পুঁজি। নতুন পিচে, নতুন টেস্টে যা সফরকারীদের কিছুটা হলেও লড়াইয়ের শক্তি দেবে।