অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট খেলা হয় খুব কম। এ দুই দলের সঙ্গে সবশেষ যথাক্রমে ২০১৭ ও ২০১৬ সালে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। তাও নিজেদের মাঠে। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট সফল সেই ২০১০ সালে আর অস্ট্রেলিয়ায় আরও পেছনে ২০০৮-এ।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে এ দুই দেশে সফরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশেরন জন্য সে সুযোগটা আসতে পারে ২০২৭ সালে। এইচপি দলের হয়ে আজ অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেয়া টেস্ট ওপেনার জয় তিন বছর পরের সেই সফরের প্রস্তুতিতে চোখ রাখছেন।
দেশ ছাড়ার আগে এইচপির চারদিনের দলের অধিনায়ক বলেছেন, “এটা আমাদের জন্য খুবই বড় একটা সুযোগ। কারণ এই দলে যারা আছি তাদের কেউই আগে অস্ট্রেলিয়া সফর করিনি। তো অভিজ্ঞতার দিক থেকে এটা বেশ কাজে দিবে। আরও একটি দিক হলো ২০২৭ এ হয়তো বা অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের টেস্ট সিরিজ আছে। সেই জন্যও এই সফরটা প্রস্তুতির জন্য কাজে দিবে।”
এই সফরে পাকিস্তান শাহিনসের সঙ্গে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলবেন জয়রা। এ সিরিজ খেলে জয় ও সাদমান ইসলামসহ কয়েকজন ক্রিকেটার ফিরে আসবেন। সিরিজে নিজেদের লক্ষ্যের সম্পর্কে এই ওপেনার বলেছেন, “আমাদের যে কম্বিনেশন আছে তা ভরসা করার মতো। আমরা অভিজ্ঞতায় হয়তো তরুণ কিন্তু পারফরম্যান্সে সিরিজ জেতার মতোই খেলতে পারবো।”
এই সফরে পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে ২টি চারদিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে ১৯ জুলাই থেকে। আর দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচটি ২৬ জুলাই থেকে।
এরপর নর্দার টেরিটরি দলকে সঙ্গে নিয়ে একটি ৫০ ওভারের সিরিজ খেলবে দুই দল। নর্দান টেরিটোরি ও পাকিস্তান শাহীনসের সঙ্গে একটি করে ম্যাচ পাবে এইচপি দল। পরে ৯ আগস্ট থেকে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা।
চারদিনের দলে সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়ের মতো ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছেন। এই দলের অধিনায়ক করা হয়েছে জয়কে। ওয়ানডে দলে আছেন তানজিদ হাসান তামিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেবেন আফিফ। আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছে আকবর আলীকে।