গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ জাতীয় লিগে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। প্রথমবারের মতো ডিউক বল ব্যবহার হয়। যা সব ক্রিকেটারের কাছে আনন্দদায়ক ও ক্রিকেট মহলে প্রশংসনীয় ছিল। এছাড়া একাধিক মাঠে খেলার ব্যবস্থাও জাতীয় ক্রিকেটকে প্রতিযোগীতামূলক করে তোলে।
অথচ এ লিগকেই একটা সময় “পিকনিক লিগ” নামে উপহাস শুনতে হয়েছে। সেই উপহাসকে উড়িয়ে দিলেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। ঢাকা মেট্রোর কোচ জাতীয় লিগ যে প্রতিযোগীতামূলক তা প্রমাণ করতে সবাইকে মাঠে খেলার দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
জাতীয় লিগ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাবুল বলেছেন, “যারা নাকি এই প্রশ্নগুলো করে তারা মাঠে গিয়ে খেলা দেখে কিনা আমার সন্দেহ আছে। প্রায়ই শুনি যে পিননিক গেইম হচ্ছে। এনসিএলের সাথে আমি সরাসরি যুক্ত তাই আমি জানি এখানে পিননিক খেলা হয় নাকি কি খেলা হয়। যারা এরকম কথা বলছেন অনুরোধ করব তাদেরকে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে।”
অক্টোবর থেকে শুরু হবে ৮ দলের জাতীয় লিগ। নতুন ফরম্যাটে দ্বিস্তর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সিঙ্গেল লেগ পদ্ধতিতে ফিরবে টুর্নামেন্টটি। তার প্রস্তুতিতে বুধবার প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আবদুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
প্রাথমিক ভাবে প্রতি দলে ২০-২৫ জন ক্রিকেটার ঠিক করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। এই ক্রিকেটারদের নিয়ে এক মাস ব্যাপি অনুশীলন করবে ৮টি বিভাগীয় দল। অক্টোবরের ১২ তারিখ থেকে জাতীয় লিগ শুরুর কথা রয়েছে।
এই লিগ দিয়ে এ বছর ঘরোয়া মৌসুমের শুরু। জাতীয় লিগ শেষে এই আট দলকে নিয়েই হবে নতুন ঘোষিত জাতীয় টি-টোয়েন্টি লিগ। এই লিগের জন্য এবার পিছিয়ে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক চারদিনের টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)।
তবে জাতীয় লিগের পর টি-টোয়েন্টি লিগটিকে ডিসেম্বরের বিপিএলের জন্য ফলপ্রসু ভাবছেন অনেকেই।