গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হক।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, ‘এর আগে ৩৬টি মামলায় আদালত থেকে তিনি জামিন পান। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বৃহস্পতিবার জামিনের কপি কারাগারে পৌঁছায়। অনেকগুলো মামলার জামিনের কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে শুক্রবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।”
হেফাজতের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন, পুলিশি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব ও নাশকতার ঘটনায় ১৫টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। খবর পেয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান নেন মামুনুল হক।
১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।