Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

জার্মান ফুটবলের আলো

222222222
[publishpress_authors_box]

পশ্চিম জার্মানির প্রথম বিশ্বকাপ জয় ১৯৫৪ সালে। হেলমুট রান, ওটমার ওয়াল্টার, ম্যাক্স মরলকের মত তারকা ছিলেন সেই দলে। তবে জার্মান ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার হচ্ছেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। এজন্যই তাকে ডাকা হয় ‘কাইজার’ বা সম্রাট।

ফুটবলের আরেক সম্রাট পেলের সঙ্গে দারুন বন্ধুত্ব ছিল বেকেনবাওয়ারের। নিউইয়র্ক কসমসে দুজন খেলেছেনেও একসঙ্গে। দুজন দুই পজিশনে খেলতেন বলে, তুলনা হত না কখনও। তবে নেতৃত্ব আর কোচিংয়ের গুণে পেলের চেয়ে তাকে এগিয়ে রাখতেন অনেকে। সেই দুই সম্রাটই এখন অন্য লোকে।

বেকেনবাওয়ারের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান ফুটবল বিশ্ব। শোকবার্তাতে সাবেক-বর্তমান ফুটবলাররা জানাচ্ছেন শ্রদ্ধাঞ্জলি। উয়েফা শোকবার্তায় স্মরণ করে দিয়েছে, বেকেনবাওয়ারের কারণে জার্মান ফুটবলের পূর্ণতা পাওয়ার কথা, ‘‘কাইজার ছিলেন অসাধারণ এক ফুটবলার, সফল কোচ এবং ফুটবল বিশেষজ্ঞ, আর কেউ তার মতো জার্মান ফুটবলকে এতটা পূর্ণতা দেননি।’’

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর শোকবার্তা, ‘‘কাইজার ছিলেন অসাধারণ এক মানুষ, ফুটবলের বন্ধু এবং সত্যিকারের কিংবদন্তি। প্রিয় ফ্রাঞ্জ, আমরা তোমাকে কখনো ভুলব না।’’

১৯৯০ সালে জার্মানির কোচ ছিলেন বেকেনবাওয়ার আর অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউস। বেকেবাওয়ারের স্মরণে তিনি লিখেছেন, ‘‘ অনেক বড় ধাক্কা এটা। আমি জানতাম যে, ফ্যাঞ্জ সুস্থ নেই। তার মৃত্যু ফুটবল এবং পুরো জার্মানির জন্য বড় ক্ষতি। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে তিনি ছিলেন সেরাদের একজন, মাঠের বাইরেও তাই। তিনি শুধুমাত্র ফুটবলের অসামান্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, ছিলেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত। যারা তাকে চিনতেন তারা সবাই জানেন, কত মহান এবং উদার ব্যক্তি ছিলেন ফ্রাঞ্জ।” 

১৯৯০ বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার এবং জার্মানি ফুটবল দলের পরিচালক রুডি ফোলারের শোকবার্তা, ‘‘আমরা একসঙ্গে জাতীয় দলে সময় কাটিয়েছি ১৯৯০ বিশ্বকাপের গৌরবান্বিত সময়ে। তার কোচিং ছাড়া শিরোপাটা আমরা কখনোই জিততে পারতাম না। জার্মান ফুটবল তার সেরা ব্যক্তিত্বকে হারাল।’’

সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি বেকেনবাওয়ারের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ছবিতেই স্প্যানিশে লিখেছেন কিউইপিডি যা ইংরেজিতে আরআইপি (রেস্ট ইন পিস) আর বাংলায়, শান্তিতে ঘুমান।

জার্মান জাতীয় দলের কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান লিখেছেন, ‘‘বেকেনবাওয়ার যখন কোনো কক্ষে পা রাখতেন, সেটি জ্বলে উঠত। তিনি জার্মান ফুটবলের আলো। তাকে চিনতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ ও গর্বিত।’’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত