বিস্ময় চেপে রাখতে পারেননি মাইক হাসি। ডেভিড ওয়ার্নার তখন ব্যাট করছিলেন ২০ রানে। আমের জামালের বলে স্লিপে সাইম আইয়ুব অবিশ্বাস্যভাবেই ফেলে দেন বিদায়ী টেস্ট খেলা ওয়ার্নারের ক্যাচ। মাইক হাসি তখন বলছিলেন, ‘‘হায় ঈশ্বর! বিশ্বাসই হচ্ছে না। ১০ বারের মধ্যে এটা ৯ বারই ধরা উচিত।’’
এই জীবন কাজে লাগাতে পারেননি ওয়ার্নার। ১০০ মিনিট ব্যাট করে ফিরেছেন ৩৪ রানে। আগা সালমানের বলে বাবর আজমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার সময় স্তব্ধই হয়ে গিয়েছিল গ্যালারি। ধারাভাষ্যে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলছিলেন, ‘‘চারপাশটা চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণের জন্য এসসিজি স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। বিশ্বাস হচ্ছিল না কারও।’’
It's happened again! 😲
— cricket.com.au (@cricketcomau) January 4, 2024
David Warner gets a life courtesy of the debutant Saim Ayub #AUSvPAK pic.twitter.com/VAr7bBis6L
মেঘলা কন্ডিশনে দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে কেবল ৪৬ ওভার। পাকিস্তানের ৩১৩ রানের জবাবে ২ উইকেটে ১১৬ রানে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। মেঘলা কন্ডিশনে আলো স্বল্পতায় আম্পায়াররা পাকিস্তানি অধিনায়ক শান মাসুদকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্পিনার দিয়ে বল করানোর। মাসুদ একটা প্রান্ত দিয়ে মিডিয়াম পেসার আমের জামালকে দিয়ে বল করাতে চাইছিলেন। তবে আম্পায়ারদের স্পিনারদের দিয়ে বল করানোর প্রস্তাবটাই পছন্দ হয়নি ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের।
ভনের ক্ষোভ, ‘‘ সে (আমের জামাল) কি এতটাই বিপজ্জনক? অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২টি উইকেট হারিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে এটা আমার একটা বিরক্তির জায়গা। অল্প সুযোগেই মাঠ ছাড়ার পথটা খুঁজে নিই অথচ মাঠে থাকতে হয় টি–টোয়েন্টি বা ওয়ানডেতে।’’
বৃষ্টি, আলোস্বল্পতার পাশাপাশি আলোচনা হচ্ছে ‘মাখনের হাত’ হয়ে পাকিস্তানি ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস নিয়ে। গত তিন বছরে পেসারদের বলে স্লিপে ৭২.৪ শতাংশ ক্যাচ নিয়েছে পাকিস্তান। এই পরিসংখ্যানে শুধু শ্রীলঙ্কা এ সময়ে তাদের চেয়ে পিছিয়ে (৭২ শতাংশ)। এই সময়ে বাংলাদেশের ক্যাচ নেওয়ার হারও ৮৫.৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় দিনে উসমান খাজা ১৪৩ বলে ফেরেন ৪৭ রানে। অপরাজিত আছেন মার্নাস লাবুশানে (২৩) ও স্টিভেন স্মিথ (৬)। একটি করে উইকেট আমের জামাল ও আগা সালমানের।