২০১৯ সালে বিসিবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল জাতীয় ক্রিকেটাররা। অ্যাকাডেমি মাঠে একত্রিত হয়ে নিজেদের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যত উন্নয়নের স্বার্থে কিছু দাবি তুলেছিলেন তারা। রোববার মিরপুরে তেমনই একটি দিন ফিরিয়ে আনলেন জেলা পর্যায়ের এক দল ক্রিকেটার। বিসিবির কাছে ১৬ দাবি উপস্থাপন করেছেন তারা।
২০১৯ সালের বিক্ষোভের পর ক্রিকেটারদের বেশ কিছু দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। সুফল হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বাড়তি ম্যাচ ফি, বিমানে যাতায়াত ও জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের বিসিবির চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। ওই সময়ের মতো এবারও ক্রিকেটারদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি।
৬৪ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে খেলা ক্রিকেটাররা রোববার ১৬ দফা দাবি নিয়ে এসেছিলেন বিসিবিতে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল – ঘরোয়া ক্রিকেটের নির্দিষ্ট সময়সূচি করা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রত্যেক বিভাগে মূল দলের পাশাপাশি দ্বিতীয় সারির আরেকটি দল গঠন করা এবং এই দলগুলো নিয়ে লিগ আয়োজন করা।
প্রথম বিভাগে তিন সংস্করণের লিগ আয়োজন করা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের সেরা ৩০ জন করে মোট ৯০ জন খেলোয়াড়কে বেতনের আওতায় আনা। সব পর্যায়ের ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান উন্নয়ন ও ভালো উইকেট নিশ্চিত করা। রেজিস্টার্ড কোনও ক্রিকেটার চোটে পড়লে বোর্ড যেন তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়।
প্রত্যেক জেলায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন ও অনুশীলনের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিন দিনের ম্যাচ আয়োজন করা। এ ছাড়া ঢাকা লিগের ক্লাবগুলোকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তির সময় আরও পেশাদার করা।
পাশাপাশি বিসিবির বেতনভুক্ত কোচদের অ্যাকাডেমি সংশ্লিষ্টতা পরিহার চান ক্রিকেটাররা। প্রথম বিভাগ লিগের অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যাবস্থা করা। রা যেন কোনো একাডেমিতে কাজ না করেন, এ দাবিও তুলেছেন। ঢাকার প্রথম বিভাগ লিগের ম্যাচ যেন অনলাইন সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়।
ক্রিকেটারদের এই দাবিগুলোকে যৌক্তিক বলেছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। ব্যক্তিগত লাভ নয়, কি করলে দেশের ক্রিকেটের লাভ হবে বিসিবি এখন থেকে সে চেষ্টাই করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া ক্রিকেটারদের সকল দাবি এখনই পূরণ করা অসম্ভব হলেও, সব বিষয়ের ওপর বিসিবি নজর দিয়ে যথাসাধ্য সংস্কারের চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ফাহিম।
আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের ফাহিম বলেছেন, ‘জেলা ক্রিকেট চালু করা, জেলা পর্যায়ে একটা উইকেট থাকা শুরু করে প্লেয়ারদের ওয়েলফেরার… তোমরা একটা ব্যাপার নিশ্চিন্ত থাকতে পারো, ক্রিকেট বোর্ড তার সামর্থ্য অনুযায়ী তোমাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবে। তোমারা যেন ক্রিকেট খেলে নিজেদের মেধা প্রকাশ করতে পার এবং সেই অনুযায়ী যেন মূল্যায়ন হয় তা নিশ্চিত করা হবে।”