তিনিই ফেবারিট ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অ্যাথলেটিক্সে সবচেয়ে মর্যাদার ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতলেন নোয়াহ লাইলস। জ্যামাইকার কিশান থম্পসন অবশ্য লড়াই করেছেন শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে। দুজনের টাইমিংই ছিল ৯.৭৯ সেকেন্ড।
এরপর ফটো ফিনিশিংয়ে শেষ হাসিটা লাইলসের। গত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের পর অলিম্পিক সোনা জিতে লাইলসের উচ্ছ্বাস, ‘‘আমি এই পদকটা চেয়েছি। কঠিন লড়াই হলো, প্রতিদ্বন্দ্বীরাও ছিল অবিশ্বাস্য। তৈরি হয়েই এসেছিল সবাই আর আমি শুধু প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম তাদের সবার মধ্যে আমি সেই মানুষ, নেকড়ের মধ্যে আমিই সেই নেকড়ে।’’
রেস শেষে অবশ্য আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন লাইলস। তিনি ভেবেছিলেন সোনা জিতেছেন থম্পসন। স্বীকারও করে নিলেন সেটা, ‘‘সত্যি বলতে আমি রেস শেষে কিশান থম্পসনকে বলেছিলাম্, মনে হয় তুমি জিতেছো। ওর নাম দেখার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলাম (মানসিকভাবে)। কিন্তু দেখলাম নিজের নাম। সৃষ্টিকর্তা করুণাময়, অবিশ্বাস্য ছিল এটা। সত্যিই প্রথমবারের মতো নিজের নাম দেখার আশা করিনি আমি।’’
হিটের পর সেমিফাইনালেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি লাইলস। তবে সেরাটা দিলেন ফাইনালে। এ নিয়ে তার সন্তুষ্টি, ‘‘ফাইনালের আগে নিজেকে বোঝাচ্ছিলাম এটাই পারফর্ম করার সেরা সময়। শেষ পর্যন্ত পেরেছি সেটা।’’
সোনা জিতে নিজের নাম লেখা স্টিকারটি শার্ট থেকে খুলে ক্যামেরাম্যানদের দেখিয়ে উদযাপনে মাতেন লাইলস। ট্র্যকের পাশে ঘণ্টা বাজাতে গিয়েই করেছিলেন পাগলামি।
২০১৯ ও ২০২২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটারে সোনা জেতেন লাইলস। ২০২৩ সালে জিতেন ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ১০০X৪ মিটারের সোনা। এবার অলিম্পিকেও করতে চান সেই কীর্তি। তবে এটা সহজ হবে না। কারণ ১০০ মিটার স্প্রিন্টেই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীয় পড়েছিলেন তিনি। ফাইনালের ৮ জনই রেস শেষ করেছেন ১০ সেকেন্ডের কম সময়ে।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে বাতাসের আনুকল্য ছাড়া এবারই প্রথম কোন আসরের ৮ প্রতিদ্বন্দ্বী ১০০ মিটার শেষ করেছে ১০ সেকেন্ডের কমে। তাই কিংবদন্তি মাইকেল জনসন বললেন, ‘‘এটা অসাধারণ ছিল। লাইলস সোনা জিতেছে কিন্তু জিততে পারত ৮ জনের যে কেউ।’’