ঝিনাইদহে কুরিয়ার সার্ভিসে নিয়ে আসা ১৮১ ভরি অবৈধ স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল একদল দুর্বৃত্ত। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শহরের সরকারি কেসি কলেজ এলাকায় এ ঘটনার পর ওই স্বর্ণের দোকানের মালিককে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, স্বর্ণকার পট্টির গিনি হাউজের কর্মচারী মিঠুন একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে একটি কার্টন নিয়ে দোকানে ফিরছিলেন। তিনি সরকারি কেসি কলেজ গলিতে পৌঁছলে ছয়জন ছিনতাইকারী কার্টনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তাকে মারধর করে। এ সময় সদর থানার এসআই জিয়াউর রহমান সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে দেখে মোটরসাইলে করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পরে থানা থেকে আরও পুলিশ এসে কার্টন খুলে ১৮১ ভরি স্বর্ণালংকার পায়। খবর পেয়ে গিনি হাউজের মালিক অনিমেষ মজুমদার ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ তার কাছে স্বর্ণালঙ্কারের কাগজপত্র দেখতে চান। তিনি কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
এসআই জিয়াউর বলেন, “আমি এসে দেখি মিঠুনকে মারধর করে কার্টনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি এসে তাদের আটক করার চেষ্টা করি। স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে না আসায় ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করি।”
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, “দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিনতাইয়ের। অন্যটি স্বর্ণ পাচারের। আমরা ছিনতাইকারীদের আটকের চেষ্টা করছি। যেহেতু কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অবৈধভাবে স্বর্ণ আনা হচ্ছিল তাই আমরা স্বর্ণালঙ্কারগুলো জব্দ করেছি। সেগুলোর মালিক অনিমেষ মজুমদারকেও আটক করা হয়েছে।”