পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ তে টেস্ট জয়ের স্বাদ নিয়ে ভারত সফরে যায় বাংলাদেশ। সফরের শেষদিন পাকিস্তানের সঙ্গে ওই জয়ের স্মৃতিও ফিরে আসছে না। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতেই নাস্তানাবুঁদ হয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ হতাশাটা শনিবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৩৩ রানের হার দিয়ে হলো। এ মাসেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে দুঃখজনক হতাশা নিয়ে ভারত থেকে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের হারটা আরও লজ্জাজনক ছিল। আগে ব্যাট করে ভারতের রেকর্ডগড়া ৬ উইকেটে ২৯৭ রান বাংলাদেশের ওপর বিশাল চাপ হয়ে ওঠে। বিপরীতে নাজমুল হোসেন শান্তরা ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে।
অবশ্য এই রান আগের দুই ম্যাচের চেয়ে একটু বেশি। ভারতকে তিনশো করতে না দেওয়া, তাওহিদ হৃদয়ের হাফসেঞ্চুরি, দেড়শোর ওপরে দলীয় সংগ্রহ ছাড়া এই ম্যাচ থেকে কিছুই পাওয়ার নেই বাংলাদেশের।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে হৃদয় ৪২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। এর আগে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। এ দুটি ইনিংস ছাড়া বলার মতো কোন রান ছিল না আর কারও। দুই দলের দুই ইনিংসই পার্থক্যটা স্পষ্ট করে দেয়।
এ সিরিজে ভারত তাদের সেরা একাদশের অনেককেই বিশ্রাম দিয়েছিল। দ্বিতীয় শক্তির দল খেলিয়েও বাংলাদেশকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দুই দেশের ক্রিকেট পার্থক্য বুঝিয়ে দিলো ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ২৯৭/৬ (২০ ওভার) (সঞ্জু ১১১, সূর্যকুমার ৭৫, হারদিক ৪৭, রিয়ান ৩৪; তানজিম ৩/৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১/২৬)।
বাংলাদেশ : ১৬৪/৭ (২০ ওভার) (হৃদয় ৬৩*, লিটন ৪২; রবি ৩/২০, মায়াঙ্ক ২/৩২)। ফল : ভারত ১৩৩ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : সঞ্জু স্যামসন।
শেষ ইনিংসে ৮ রান মাহমুদউল্লাহর
নিজের শেষ ইনিংসটা একটু অন্যভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। উইকেটে যাওয়ার পর থেকে তাই ছক্কা মারার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু বল-ব্যাটে ঠিকঠাক হচ্ছিল না। যে ভুল নিজের শেষ ইনিংগুলোতে করে আসছিলেন এই ব্যাটার।
সেই ভুলেই ১৪১তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে থামলেন মাহমুদউল্লাহ। মায়াঙ্ক যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন ৮ রানে। এতে ১৪১ ম্যাচে ২৪৪৪ রান নিয়ে থামলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের ৯৪
ভারতের দেওয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সুখকর কিছু নেই বাংলাদেশের জন্য। তবে গত দুই ম্যাচের চেয়ে ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ভালো রান পেয়েছে সফরকারীরা। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান করেছে বাংলাদেশ।
২৮ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেওয়ার লড়াইয়ে আছেন লিটন-হৃদয়। লিটন ২১ বলে ৭ চারে ৩৭ ও হৃদয় ১৬ বলে ১৯ রানে অপরাজিত আছেন।
লিটনের ৫ চারের পর শান্তর ভুল শট
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারাতে হয় বাংলাদেশকে। মায়াঙ্ক যাদবের গতিতে পরাস্ত হন পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম বলে উইকেট হারালেও প্রথম পাওয়ার প্লে তে ভালো রান পেয়েছে বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৫৯ সফরকারীদের।
পাওয়ার প্লেতে ভালো রান এসেছে লিটন দাসের কল্যানে। নিতিশ রেড্ডির এক ওভারে ৫টি চার মেরেছেন তিনি। ওই ওভারে ২০ রান নিয়ে দারুণ ভাবে দলীয় সংগ্রহ এগিয়েছে বাংলাদেশ। সন্তুষ্ট হওয়ার উপলক্ষ্য বেশিক্ষণ টিকতে দেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
রবি বিষ্নুইয়ের লেগ স্পিনে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। ১১ বলে ১৪ রান করা শান্তর ওই সময় ওই বলে ওমন শট খেলা মোটেও সমীচিন ছিল না। এর আগে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে কাট শট করতে গিয়ে ১২ বলে ১৫ রান করে ভালো ইনিংসে শেষ করেছেন তানজিদ তামিম।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে
ভারতকে তিনশো করতে না দেওয়াই শনিবার বাংলাদেশের জন্য বড় সাফল্যের বিষয়। ১৯তম ওভারে তাসকিন আহমেদ যখন পঞ্চম বলটি নো বল দিলেন, তখনই মনে হচ্ছিল ভারতের প্রয়োজনীয় ২২ রান হয়তো এই ফ্রি হিট সহ হয়েই যাচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাসকিন ফ্রি হিটে ১ রান দিয়েছেন। আর শেষ ওভারে তানজিম সাকিব শেষ ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে দিয়েছেন ১৫ রান। ওভারপ্রতি এই ১৫ রান করে নিয়েই ভারতের অবিশ্বাস্য পাওয়ার হিটিংয়ের বৃষ্টি শেষ হয় ৬ উইকেটে ২৯৭ রানে।
এমন একটি দিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবাই ভুলে যেতে চাইবে। বোলিংয়ে, ফিল্ডিংয়ে কোন কিছুই নিজেদের মতো করতে পারছিলো না বাংলাদেশ দল। শুরু থেকেই চার-ছক্কার বৃষ্টিতে উড়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত উইকেটের কোথায় বল ফেলবে তাও যেন ভুলে যান বোলাররা।
তাই ভুলে ভরা বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে সঞ্জু স্যামসন রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি করলেন ৪৭ বলে ১১১ রানে। সূর্যকুমার ৩৫ বলে করেন ৭৫, হারদিক পান্ডিয়া ১৮ বলে ৪৭। ভারত গড়ে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
এর আগে যা ছিল আফগানিস্তানের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৮। ভারত টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের তালিকায় এখন দ্বিতীয় অবস্থানে। শীর্ষে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ৩ উইকেটে ৩১৪ রান।
নিজেদের ইনিংসে মোট ২২টি ছক্কা ও ২৫টি চার মেরেছেন ভারত ব্যাটাররা। লক্ষ্য তাড়া করতে হলে এমন অতিমানবীয় কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে। নিজেদের টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ২১৫ রান ছাড়িয়ে আরও বহুদূর যেতে হবে। ভারত ব্যাটারদের বিধ্বংসী পাওয়ার হিটিংয়ের পর আত্মবিশ্বাস হারানো বাংলাদেশ ব্যাটারদের জন্য যা অসম্ভব।
রান আউট মিস, ক্যাচও মিস
১৮তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ওভারের তৃতীয় বলে হারদিক পান্ডিয়া বড় শট মিস করলে এক রান নিতে উইকেটের অপরপ্রান্তে ছুটে যান রিয়ান পরাগ। অপর প্রান্তে সহজেই রান আউট করার সুযোগ ছিল। কিন্তু লিটন দাস বল নিয়ে অপরপ্রান্তের উইকেটে নয় বল ছুঁড়ে মারেন আরও দূরে।
পরে বলেই রিয়ান বড় শট নেন। বল অনেক দূর উপরে উঠে মিডউইকেটের মাঝে পড়ে। পারভেজ হোসেন ইমন অনেক দূর দৌড়ে এসেও বল লুফে নিতে ব্যর্থ হন।
বাংলাদেশের এমন এক হতাশার দিনে ভারত রেকর্ড গড়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়েছে ভারত। নিজেদের সর্বোচ্চ ২৬০ রানের আগের রেকর্ডও ছাড়িয়েছে।
শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর উইকেট
ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে অবদান রাখার আগে বল হাতে অবদান রাখলেন মাহমুদউল্লাহ। তুলে নিলেন সূর্যকুমারের উইকেট। ৩৫ বলে ৭৫ রান করে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ আউট হয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহ আগের মতো নিয়মিত বল করেন না। তাই গত ১৫ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন। সবশেষ উইকেট এসেছিল বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এবার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে ৪১তম উইকেট পেলেন।
অবশেষে থামানো গেল সঞ্জুকে
বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরির ইনিংসটা শেষ হবে কিনা সেই প্রশ্নই ছিল। অবশেষে সেই উত্তর মিলল মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে। ৪৭ বলে ১১১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসটি থামল ফিজের বলে। সেই সঙ্গে ১৭৩ রানের জুটিও থামল।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন সঞ্জু স্যামসন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ৪১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন এই ব্যাটার। যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম।
ভারতের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা। ৩৫ বলে ওই কীর্তি গড়েছিলেন। দ্বিতীয় দ্রুততম এতদিন ছিল সূর্যকুমার যাদবের। তার ৪৫ বলের রেকর্ড ভেঙেছেন সঞ্জু। বাংলাদেশের বিপক্ষে শনিবারের রেকর্ড গড়া ইনিংসে সূর্যকুমারকেই পাশে পেয়েছেন তিনি।
সঞ্জু ও সূর্যকুমারের তান্ডবে ১৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৯০ রান ভারতের। দুজনে ৬৬ বলে ১৬৭ রানের জুটি গড়েছেন। যা টি-টোয়েন্টিতে যে কোন দেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
১০ ওভারে ১৫২, ২০ ওভারে কত!
আইপিএল খেলাই চলছে হায়দরাবাদে। আইপিএলের অন্যতম রান উর্বরা মাঠটিতে বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করছেন সঞ্জু স্যামসন ও সূর্যকুমার যাদব। ১০ ওভারে ১৫ চার ও ১১ ছক্কা মেরেছেন তারা। রান উঠেছে ১৫২। ২০ ওভারে কত করবে ভারত!
রান ক্যালকুলেটর বলছে ভারত ৩০০ ছাড়াবে। এমনটা হতেই পারে কারণ ১০ম ওভারে রিশাদ হোসেনকে সঞ্জুর ৫ ছক্কা। রিশাদকে পাঁচবার বাউন্ডারীর বাইরে উড়িয়ে ৩৫ বেল ৯২ রান করলেন সঞ্জু। ২২ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত সূর্যকুমার।
এবার ৬ ওভারেই ৮২
এই পিচে দুইশো রান হবে। ম্যাচের শুরুতে এমনটাই বলেছিলেন পিচ রিপোর্ট করতে আসা রবি শাস্ত্রী। তার কথার মিল অনেকটাই রাখতে যাচ্ছে ভারত। পাওয়ার প্লেতেই ১ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান তুলে ফেলেছে তারা।
মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন ভারতের হয়ে। সঞ্জু স্যামসন ও সূর্যকুমার যাদব মিলে সহজ উইকেটে চার ছক্কার ঝড় তুলেছেন। তাতে অসহায় বাংলাদেশ বোলাররা। কোথায় বল ফেলবেন তাই যেন বুঝতে পারছেন না তারা।
হায়দরাবাদের অভিষেককে শুরুতেই ফেরালেন তানজিম
সানরাইজার্স হয়দরাবাদে খেলেন অভিষেক শর্মা। গত আইপিএলের বিধ্বংসী ছিলেন ব্যাট হাতে। হেনরিখ ক্লাসেন, এইডেন মারক্রামরা মিলে বোলারদের ত্রাস হয়েছিলেন। হায়দরাবাদেই অভিষেক ২৮৪ রান করেছিলেন ২৪৯.১২ স্ট্রাইকরেটে।
বাংলাদেশের বিপক্ষেও তার ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ভয় ছিল। কিন্তু মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই অভিষেককে আউট করলেন তানজিম হাসান সাকিব। বাউন্সি ডিলেভারিতে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন ১ বলে ৪ রান করা অভিষেক।
২ ওভারে ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারালো ভারত।
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজের শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদে টস হেরে আগে বোলিং পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের মতো বাংলাদেশকে বড় রানের চাপে ফেলতে চায় ভারত। টস জিতে এমনটাই বলেছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এদিকে আগে বোলিং পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেম অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
হায়দরাবাদে আরেকটি রান উৎসব দেখার অপেক্ষা। কারণ উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। এমন পিচে শান্ত ব্যাটিং ভয় কাটাতে চাইছেন। ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে নিজেদের মেলে ধরার লক্ষ্য তার। শেষ ম্যাচ বলে এই ৪০ ওভারে কিছু স্পেশাল করবেন বলে টসের সময় জানিয়েছেন শান্ত।
শেষ ম্যাচে একাদশে দুই পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান। আর জাকের আলিকে বাইরে রেখে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে। ভারত একটি মাত্র পরিবর্তন করিয়েছে। পেসার আর্শদীপের জায়গায় খেলছেন লেগ স্পিনার রবি বিষ্নুই।
বাংলাদেশ : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মোহাম্মদ মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব।
ভারত : সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, নিতিশ রেড্ডি, হারদিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, রিংকু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, বরুন চক্রবর্তী, রবি বিষ্নুই, মায়াঙ্ক যাদব।