ভারত সফরের টেস্টের দলে জাকের আলীর নামটা চমক-ই বলতে হয়। গত বছর থেকে এই ক্রিকেটারকে সাদা বলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। এবার ছোট ফরম্যাট থেকে একেবারে বড় ফরম্যাটে চলে এলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাতে সমস্যার কিছু নেই, জাকের জানিয়েছেন টেস্টের জন্যও প্রস্তুত আছেন।
জাকেরের জন্য সাদা পোষাকে জাতীয় দলের দরজা খুলেছে সম্প্রতি একটি ইনিংসে। পাকিস্তান “এ” দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ “এ” দলের হয়ে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৭ থেকে প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে সিলেট বিভাগীয় দলের নিয়মিত মুখ জাকের। সেই অভিজ্ঞতাও টেস্টে তার ডাক এনে দিয়েছে।
এমনিতে জাকেরের মূল দায়িত্ব “বিগ হিটিং”। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারগুলোতে দ্রুত রান তোলার কাজটা তার। বাংলাদেশের জার্সিতে ২০০ স্ট্রাইকরেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ বলে করেছিলেন ৬৮ রান। অভিষেকে ওমন ইনিংসের পর জাকেরের নাম হয়ে যায় পাওয়ার হিটার। অবশ্য ওই সিরিজের পর এমন বিধ্বংসী রূপে আর দেখা যায়নি জাকেরকে।
বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ ছিলেন পুরোপুরি। সেই হতাশা এবার টেস্ট দিয়ে দূর করতে পারেন জাকের। বলেছেন তিনি প্রস্তুত আছেন, শুধু একাদশে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষা, “সুযোগ পেলে নিজের সেরা পারফরম্যান্স করা, দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা। প্রথমে আমি টি-টোয়েন্টি দলের অনুশীলনে ছিলাম। পরে তো সংস্করণ আলাদা হলো। দুই সংস্করণের জন্যই প্রস্তুতি রেখেছি। এখন শুধু সংস্করণ অনুযায়ী মানসিকতা বদলাতে হবে।”
জাকেরকে নেওয়া হয়েছে ভারতের শক্তি বিবেচনা করেই। নিজেদের দেশে সেরা বোলিং আক্রমণ নিয়ে টেস্টে নামে ভারত। সেই হিসেবে বাংলাদেশকে শক্ত ব্যাটিং লাইন প্রস্তুত রাখতে হবে। লম্বা ব্যাটিং লাইন থাকলে রান বড় করার সযোগ থাকে।
দলে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে এক নম্বরে আছেন লিটন দাস। এছাড়া মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসানও আছেন প্রয়োজনে ওই দায়িত্ব পালন করতে। সেখানে জাকেরের টেস্ট অভিষেকের স্বপ্ন দেখা একটু দুরূহ ব্যাপার-ই।
জাকের অবশ্য নিজের চিন্তা করছেন না। দলে সুযোগ পেয়েছেন, দলের চিন্তা করছেন। সেই মতো এই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ভালো কিছু করার সুযোগ দেখছেন এই ব্যাটার। পাকিস্তানের মতো ভারতের অতীত রেকর্ড বদলাতে চাইছেন।
জাকের জানিয়েছেন, “যেহেতু সবশেষ সিরিজটা খুব ভালো গিয়েছে, সেই আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই থাকবে। আমার মনে হয়, এই বছর আমাদের চেষ্টা থাকবে, যেটা আমরা দল হিসেবে আগে কখনও করতে পারি, সেটা করার চেষ্টা থাকবে।”
টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আগে থেকেই আছেন টি-টোয়েন্টি দলে। এবার ওয়ানডের অপেক্ষা জাকেরের। সেই অপেক্ষা নিজে থেকে করছেন না। সময় হলে এমনিতেই স্বপ্ন পূরণ হবে বলে জানালেন, “আসলে এগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। যখন যেটা পাওয়ার, পাব ইনশাআল্লাহ্। আমার কাজ রান করে যাওয়া, পারফরম্যান্স করে যাওয়া, পরিশ্রম করে যাওয়া। এটার মধ্যেই মনোযোগ রাখছি।”