Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন কমলা

TRUMP_Harris
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনসমর্থনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। দেশটির টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোর জনমত জরিপে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

রবিবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি নিউজের জরিপে দেখা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস ৫ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে। গত ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই জরিপ করা হয়।

এনবিসির জরিপে আরও দেখা যায়, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ভোটাররা ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর প্রতি আরও বেশি অনুকূল মনোভাব দেখাচ্ছেন।

কমলা হ্যারিস প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর বিষয়ে তাদের মনোভাব কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে জরিপে অংশ নেওয়া ১০০০ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৪৮ শতাংশ ইতিবাচক উত্তর দেন। জুলাইয়ে যা মাত্র ৩২ শতাংশ ছিল, সেসময়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

অন্যদিকে, ট্রাম্প সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোটার। জুলাইয়ে যা ছিল ৩৮ শতাংশ।

জরিপে মার্জিন অব এরর বা ত্রুটির ব্যবধান ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ট্রাম্প বা হ্যারিস তিন শতাংশ ভোট কম-বেশি পেতে পারেন। সে হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস ৫ শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন।

আরেক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজের জরিপেও দেখা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস ২ শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন।

সিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান ৫২ শতাংশ ভোটার। আর ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৪৮ শতাংশ।

সিবিএসের জরিপে মার্জিন অব এরর ছিল ২ শতাংশ। সে হিসেবে কমলা ২ শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন।

সেপ্টেম্বরের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সিবিএসের চালানো ওই জরিপে ৩ হাজার ১২৯ জন নিবন্ধিত ভোটার অংশ নেন।

এর আগে রয়টার্স ও ইপসোস পরিচালিত জরিপগুলোর ফলাফলের সঙ্গেও এই জরিপগুলোর ফলাফল মিলে যাচ্ছে।

আগস্টে করা বিভিন্ন জরিপে দুই প্রার্থীর জনসমর্থন প্রায় সমান সমান তথা ৫০-৫০ শতাংশ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ১০ সেপ্টেম্বর তাদের বিতর্কের পর থেকেই কমলা হ্যারিসের জনসমর্থন বাড়তে শুরু করেছে বলে জরিপে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

ওই বিতর্কে কমলা হ্যারিসের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে কারণে আগামী ২৩ অক্টোবর ফের আরেকটি বিতর্কে কমলার মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প।

গত শনিবার কমলা হ্যারিস বলেছিলেন, তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আবার ‘মুখোমুখি বিতর্ক’ চান। কিন্তু ট্রাম্প সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন।

তবে কমলাও নাছোড়বান্দা। প্রত্যাখ্যানের পরও রবিবারই আবার এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্পকে বিতর্কে বসার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। সেই আহ্বানের জবাব ট্রাম্প এখনও দেননি।

অন্যদিকে, রবিবার পৃথক এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এ বছরই শেষবারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন। এ বছর পরাজিত হলে তিনি আর এই পদের জন্য লড়বেন না।

এবার নিয়ে পর পর তিনবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। একবার জিতেছেন (২০১৬ সালে), একবার পরাজিত হয়েছেন (২০২০ সালে)। তৃতীয়বারও (২০২৪) জয়ের আশা নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন।

আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে প্রধান দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে ‘মুখোমুখি বিতর্কের’ আয়োজন করা হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী থাকাকালীন প্রথম বিতর্ক হয়েছিল গত ২৭ জুন।

সেই বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হন বাইডেন। এতে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন এবং গত ২২ জুলাই নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এরপর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন।

কমলা হ্যারিস প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই ডেমোক্র্যাটদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের সমর্থন বাড়তে থাকে। ফলে বাইডেনের চেয়ে অনেক শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হন কমলা।

যেখানে বাইডেন প্রার্থী থাকলে ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত ছিল, সেখানে এখন জনমত জরিপগুলোতে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস এই নির্বাচনে জিতলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত