Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

ট্রাম্পের এই বিচার কেন গুরুত্বপূর্ণ

Trump_Trial
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি অপরাধ মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে বিচারক নির্বাচন শুরুর মধ্য দিয়ে এই বিচারের প্রথম দিন শেষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হলেন।

মঙ্গলবারও বিচারক নির্বাচন হয়েছে। এই মামলায় একজন প্রধান বিচারক সহ আরও ১২ জন বিচারক অংশ নেবেন। এই বিচারক নির্বাচনেই প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। এরপর শুরু হবে মামলার শুনানি।

৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে দেওয়া ঘুষের অর্থ সংক্রান্ত। ওই পর্ন তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক ছিল।

আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তা গোপন রাখার জন্য ট্রাম্প ওই পর্ন তারকাকে বিশাল অঙ্কের ঘুষ দেন। স্টর্মিকে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ঘুষ বাবদ অর্থ খরচের বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ।

আবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে যাওয়া ট্রাম্প অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তার দাবি, তিনি যে অভিযোগগুলোর মুখোমুখি হচ্ছেন, তা ফৌজদারি অপরাধমূলক নয়।

এটা সত্য যে, যৌন সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য পর্ন তারকাকে ট্রাম্প যেভাবে অর্থ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে তা কোনও অপরাধ নয়। তবে সেই অর্থ প্রদানের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তিনি তার ব্যবসায়িক রেকর্ডে যেসব জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, সেগুলো ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই নির্বাচনে ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়বেন।

তার আগে এই বিচার কার্যক্রম ট্রাম্পকে স্বাভাবিকভাবেই বেশ অস্বস্তিতে ফেলবে। এতে তার নির্বাচনী প্রচারও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এই বিচারকে যুক্তরাষ্ট্রের এক ঐতিহাসিক ঘটনা হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারণ এই প্রথম দেশটির কোনও প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হলেন।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুলের ইতিহাস ও জননীতি বিভাগের অধ্যাপক অ্যালেক্স কিসার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর সঙ্গে তুলনীয় কিছু নেই।”

ম্যানহাটনের আদালতে মামলাটি প্রায় ছয় থেকে আট সপ্তাহ ধরে চলবে এবং মামলার শুনানিতে প্রতিদিনই ট্রাম্পকে হাজির থাকতে হবে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দিনের বেলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে রাতে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আসলে কী

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের দাবি, ২০০৬ সালে ট্রাম্প তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। আর ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে চুপ থাকার জন্য তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন তাকে ওই ঘুষের টাকা পৌঁছে দেন।

মাইকেল কোহেনও (৫৭) বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কোহেন বলেন, তিনি ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এই অর্থ প্রদান অবৈধ নয়। কিন্তু ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অভিযোগ, ট্রাম্প ওই অর্থ খরচের বিষয়টি ভিন্ন খাতে রেকর্ড করে অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক রেকর্ড জাল করার ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইনজীবীরা একে ২০১৬ সালের নির্বাচনকে বেআইনিভাবে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবেও দেখাচ্ছে। বিচারে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রতিটি অপরাধের জন্য ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্টর্মি ড্যানিয়েলস ও মাইকেল কোহেন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক দণ্ডবিধির ১৭৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়। তবে এই অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কারাদণ্ডের বিধান নেই। তাই দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাম্পকে কারাগারে নাও যেতে হতে পারে।

গত বছরের মার্চে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতের বিচারকরা। এরপর এপ্রিলে তাকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। যদিও গ্রেপ্তারের পরই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির এই প্রবীণ নেতা।

ট্রাম্প গোড়া থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করেছিলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। ফলে ট্রাম্প সমর্থকরা রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগও তুলেছে।

স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে ট্রাম্পের দাবি, স্টর্মিকে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে তা ট্রাম্পের নিজের পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগ থেকে রক্ষার জন্য, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য নয়।

ট্রাম্প কি মামলা চলাকালে প্রতিদিন আদালতে হাজির হবেন

এর আগের দুটি মামলায় ট্রাম্প যখন খুশি আদালতে হাজির হয়েছেন আবার যখন খুশি বের হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই বিচারে তিনি একজন ফৌজদারি আসামি হওয়ায় সে সুযোগ পাবেন না।

বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্পকে তার অপরাধমূলক বিচারে প্রতিদিন উপস্থিত থাকতে হবে। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।

এই মামলায় ট্রাম্পের অনুপস্থিতি অনুমোদনে আদালতের ক্ষমতাও সীমিত। তবে আদালত চাইলে ট্রাম্পকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

যেমন ট্রাম্প ১৭ মে তার ছেলের স্নাতক সম্পন্ন করার দিনে আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তবে বিচারকরা বলেছেন, ওই তারিখের কাছাকাছি সময়ে তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর এবং ওয়েস্ট কোস্ট ট্রায়াল আইনজীবীদের সভাপতি নেওয়ামা রহমানি বলেছেন, আদালতে হাজির না হওয়া জুরি বিচারে ট্রাম্পের জন্য ব্যয়বহুল হতে পারে।

বিচারের প্রথম দিনে আদালতে ট্রাম্প।

সোমবার বিচারের প্রথম দিনে ট্রাম্প আদালতে সময় মতোই হাজির হয়েছিলেন। আদালতে হাজির হয়েই ট্রাম্প সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিচারকে আমেরিকার ওপর হামলা এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেন।

এমনকি সোমবার এই মামলার প্রধান বিচারক জুয়ান মার্চানকেও বিচার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায় ট্রাম্পের আইনজীবীরা। কিন্তু বিচারক মার্চান তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। মার্চানসহ ১২ জন বিচারক এই মামলায় অংশ নেবেন।

ট্রাম্প শিবিরের অভিযোগ, যেহেতু মার্চানের মেয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন, তাই এই মামলায় তার স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং মামলাটি থেকে তার নিজেকে সরিয়ে নেওয়া উচিৎ।

ট্রাম্প মার্চানকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও অভিযোগ করেছেন। তবে মার্চান এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে তাদের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

এই বিচার কেন এত আগ্রহ তৈরি করেছে

এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের বিচার হচ্ছে। আর সে কারণেই এই বিচার বিশ্বব্যাপী এত মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্রুস ফেইন আল জাজিরাকে বলেছেন, “সাবেক বা বর্তমান কোনও প্রেসিডেন্টের এভাবে বিচার করার নজির আমাদের ২৩৫ বছরের ইতিহাসে আর নেই। এর আগে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে ফৌজদারি অপরাধে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পরে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, তাই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।”

২০২৩ সালের মার্চ মাসে ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ এই অভিযোগ আনার পর থেকে ট্রাম্পকে আরও তিনটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে সেগুলোর বিচার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি।

ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে কী হবে

দোষী সাব্যস্ত হলে প্রতিটি অভিযোগে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে। তবে শুধু জরিমানা বা প্রবেশনের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদি একাধিক কারাদণ্ডের সাজা হয়, তাহলে বিচারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন যে, সেগুলো একযোগে চলবে নাকি পরপর চলবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলার পর থেকে ট্রাম্পের মন্তব্য এবং আচরণের কারণে তাকে হয়ত কিছু সময় কারাগারে কাটাতে হতে পারে।

ব্রুস ফেইন বলেন, “এই ধরনের মামলায় সাধারণত, আসামি কতটা অনুতপ্ত, তার ওপর ভিত্তি করে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আমি মনে করি, তাকে যদি দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তাহলে তার চরিত্রের কারণেই তাকে অন্তত কিছু সময়ের জন্য কারাগারে পাঠানো হতে পারে।”

অবশ্য ট্রাম্পের আইনজীবিরা নিশ্চিতভাবেই আদালতের যে কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন, যার ফলে তাকে কারাগারে পাঠাতে দেরি হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কী প্রভাব

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে পারবেন। জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান ভোটারদেরও বেশিরভাগই ট্রাম্পকে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সমর্থন করবে, এমনকি যদি তিনি অপরাধের জন্য দোষীও সাব্যস্ত হন।

তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, প্রকৃত দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্প নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারেন।

টেম্পল ইউনিভার্সিটির আইন ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক ক্রেগ গ্রিন আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমি মনে করি এমন কিছু লোক থাকবে যারা বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব সহকারেই নেবে। ফলে ট্রাম্প আদালতে দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হলে কিছু ভোটার তাকে ভোট না দেওয়ার সম্ভাবনাও আছে।”

বিচার চলাকালীন তার নির্বাচনী প্রচারণাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আগামি কয়েক মাসের মধ্যে তার অন্যান্য মামলাগুলোর বিচারও শুরু হতে পারে। তখন নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকা ট্রাম্পের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

আর কোন কোন মামলায় বিচারের মুখোমুখি

বিয়েবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক গোপন করার জন্য পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়া ছাড়া ট্রাম্পকে আরও তিনটি ফৌজদারি অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর মধ্যে একটি হল ফ্লোরিডায় সরকারি গোপন নথি নিয়ে অসাবধানতার অভিযোগ, যা ২০২৩ সালের জুনে সামনে আনা হয়।

বাকি দুটি অভিযোগ ২০২৩ সালের আগস্টে দায়ের করা হয়। তার মধ্যে একটি হলো- জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা।

আর তৃতীয় অভিযোগটি হলো- গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা।

বিচারকরা এখনও এই তিনটি মামলার বিচার শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেননি। সরকারি আইনজীবিরা জর্জিয়ার মামলায় ৫ আগস্ট বিচার শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর বিচারক আইলিন ক্যানন গোপন নথি মামলার বিচার মে মাসে শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত