Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না ড. ইউনূসকে

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

ফলে এখনই কারাগারে যেতে হচ্ছে না এই নোবেল বিজয়ীকে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায় ঘোষণা ও জামিন মঞ্জুর করেন।

একইসঙ্গে ড. ইউনূসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

দণ্ড পাওয়া অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা মামলার রায় ঘোষণা করেন দুপুর সোয়া ২টার দিকে। এর পরপরই আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামিদের জন্য জামিন আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্ত রেখে তাদের জামিন দেওয়া হয়।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত ৬ জুন চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে চারজনের পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হলেও ২০ আগস্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।

২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন তারা। তারপর থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। দশম দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষে রায়ের জন্য এদিন ধার্য করা হয়।

মামলার অভিযোগ বলা হয়েছিল, শ্রম আইন-২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক ও কর্মচারীরা শিক্ষানবিশকাল পার করার পরেও স্থায়ী নিয়োগ পাননি। এছাড়া শ্রমিক ও কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি দেওয়া হয়নি, ছুটি নগদায়ন বা ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থও দেওয়া হয়নি।

পাশাপাশি গঠন করা হয়নি শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি লভ্যাংশের ৫ শতাংশ পরিমাণ অর্থ।

এসব অভিযোগের বিপরীতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছিলেন চার বিবাদী। সেখানে এটাও বলা হয়েছিল যে, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ফলে এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়। বরং তা সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।

রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ। শ্রম আদালতের ইতিহাসে প্রথম এত তাড়াতাড়ি মামলার শুনানির জন্য ১০টি ডেট দেয়া হয়েছে। নিজেরা তড়িঘড়ি করে আদালতের ইতিহাস বদলে, সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শুনানি করে আজকের এই রায় ঘোষণা করা করা হলো।”

ন্যায় বিচার হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এই রায় অন্যায় এবং আইন বিরোধী। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। রাষ্ট্রপক্ষ কোনও কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। আপিল কোর্টে আমরা এর প্রতিকার চাইব।”

তবে রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের এ রায়ে আবারও প্রমাণ হলো, আইনের কাছে কোনও বড়-ছোট নেই, আইন সবার জন্য সমান “

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত