Beta
মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

ঢালাও মামলা, জোর-জবরদস্তি নিয়ে সরকারের হুঁশিয়ারি

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী দীপু মনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ২১ আগস্ট ঢাকার আদালতে পুলিশ বেষ্টনির মধ্যেও আক্রমণের শিকার হন। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী দীপু মনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ২১ আগস্ট ঢাকার আদালতে পুলিশ বেষ্টনির মধ্যেও আক্রমণের শিকার হন। ফাইল ছবি
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মামলা করতে পুলিশকে চাপ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ, প্রতিবাদের নামে ঘেরাও, কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করার বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছে সরকার।

সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’তে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি পুলিশকে বলা হয়েছে, মামলা হওয়া মাত্র যেন কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়।

দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়ার পর সারাদেশে দলটির কার্যালয় ও নেতাদের বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়।

পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা ধরা পড়ার পর আদালতে তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে।

পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে পদধারীদের পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনাও ঘটছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রায় এক মাস গড়ানোর পর এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

‘কর্তৃত্ববাদী’ আওয়ামী লীগের দেশ শাসনে জমে থাকা ক্ষোভ এবং আন্দোলন দমনে গুলিতে কয়েকশ মানুষের মৃত্যুতে মানুষের ক্রোধ থাকাটা অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করে সরকার।

তবে সেই সব নিপীড়নের বিচার করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে বলা হয়, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তখন অতি উৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহলের আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন।

“বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।”

দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এ সকল মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিংবা দপ্তরে জানানোর পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, “কোনোভাবেই কোনও প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনও রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না।

“সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এরপরও এই ধরনের কর্মকাণ্ড যারা চালাবে, তাদের হুঁশিয়ার করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার সকল দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহবানও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত