Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

তদন্তাধীন বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফিং বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

ss-boom-microphone-media-2024
[publishpress_authors_box]

আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে কোনও আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা এবং তদন্তাধীন বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনির।

বুধবার স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাসহ তদন্তাধীন সব মামলার ক্ষেত্রে আসামিকে গণমাধ্যমে দেখানো এবং তদন্তের বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রিফিং বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তা না হলে সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হন। গনমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করছে। মাঝে মাঝেই কর্তৃপক্ষ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে। সাংবাদিকরাও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানান ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করছেন।

এর ফলে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ ফ্রিল্যান্সাররা খণ্ড তথ্য উল্লেখ করে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করছেন। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে। বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা, ফেনীর নুসরাত হত্যা, ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরাম হত্যার ঘটনায়ও এমনটি দেখা গেছে।

তদন্তাধীন মামলার বিষয়টি বস্তু নিয়ে গণমাধ্যমে বিফ্রিং বন্ধে ২০১৯ সালে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র মামলায় নির্দেশনা রয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, “বিভিন্ন আলোচিত অপরাধের তদন্ত চলাকালীন সময়ে পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করার আগেই বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাাপন করা হয়, যা অনেকসময় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অমর্যাদাকর এবং অঅনুমোদনযোগ্য; এবং বিভিন্ন মামলার তদন্ত সম্পর্কে অতি উৎসাহ নিয়ে গনমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করা হয়ে থাকে।”

নোটিশে শিশির মনির বলেছেন, আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যতক্ষণ না কেউ দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে বলা যাবে না যে তিনি প্রকৃত অপরাধী বা তার দ্বারাই অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের সামনে গ্রেপ্তার কোনও ব্যক্তিকে এমনভাবে উপস্থাাপন করা সঙ্গত নয় যে, তার মর্যাদা ও সম্মানহানি হয় এবং তদন্ত চলাকালে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের আগেই গণমাধ্যমে গ্রেপ্তার কোনও ব্যক্তি বা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে এমন কোনও বক্তব্য উপস্থাাপন সমীচীন নয়।

যে কারণে বিষয়টি বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত