টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার পরীক্ষা দিতে নেমেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। সেই পরীক্ষায় খোলা চোখে পাশ বলা যায় তানজিদকে। কারণ অভিষেক ম্যাচেই ফিফটি করে দলকে জেতালেন। তার ৬৭ রানে জিম্বাবুয়ের ১২৫ রানের লক্ষ্য ১৫.২ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে তাড়া করেছে বাংলাদেশ।
খোলা চোখে পাশ হলেও তানজিদের ইনিংস দেখলে তা বলা যাবে না। এই ব্যাটার যে তিনটি জীবন পেয়েছেন। শুরুতে ৩ ও ৪ রানে দুবার তার ক্যাচ ফেলেছেন জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। পরে ৫৬ রানে আরও একবার জীবন পান তানজিদ। তিন সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবশ্য হতাশ করেননি এই ওপেনার।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ২০০৭ সালের পর এক বিরল অর্জন এনে দিলেন। বাংলাদেশের জার্সিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি অভিষেকে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। ২০০৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর এমন কীর্তি গড়লেন তানজিদ। ৩৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করলেন।
হতাশ করেছেন লিটন দাস। সহজ প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভালো করার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। মুজারাবানির বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন ১ রান করে। এরপর তানজিদকে ফেরানোর সুযোগ ছিল জিম্বাবুয়ের সামনে।
মুজারাবানির বলে পুল করতে গিয়ে ক্রিজের ওপরেই বল তুলে দেন। কিন্তু উইকেটরক্ষক ও বোলারের ভুলে ক্যাচ মিস করেন মুজারাবানি। অথচ উইকেটরক্ষক মাদান্দে সহজেই ক্যাচটি নিতে পারতেন। দুই বল পর মুজারাবানিকেই ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে বেনেটের হাতে বল তুলে দেন তানজিদ। সরাসরি ক্যাচটি নিতে ব্যর্থ হন এই ফিল্ডার।
শুরুর পাঁচ ওভারে লিটনকে হারিয়ে মাত্র ১৯ রান আসে বাংলাদেশের বোর্ডে। হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না তানজিদ। দুবার জীবন পাওয়ার পর যেন ভয় কাটে। মুজারাবানির তৃতীয় ওভারে ১৬ রান নিয়ে হাত খোলে তার। এরপর বৃষ্টির বাধায় দুবার ম্যাচ থামলেও তানজিদকে আর থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ২টি ছক্কা ও ৮ চারে ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বড় শট খেলতে গিয়ে লুক জঙ্গের বলে ডিপ মিডউইকেটে ২৪ বলে ২১ রান করে ফিরেছেন। পরে তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুত ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। হৃদয় ১৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।