টেনিসের সোনালি প্রজন্মের তারকা অ্যান্ডি মারে। ‘বিগ ফোর’ খ্যাত সেই যুগের গোধূলীবেলা চলছে এখন। নোভাক জোকোভিচ ছন্দে থাকলেও রজার ফেদেরার অবসর নিয়েছেন। রাফায়েল নাদাল ইনজুরিতে ধুঁকছেন। অ্যান্ডি মারেও শোনালেন শেষের গান।
ইনজুরিতে ভুগে অনেক দিন ধরে নিজের ছায়া হয়ে আছেন মারে। সোমবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হারলেন প্রথম রাউন্ডে। আর্জেন্টাইন তমাস মার্তিন এচেভেরি ৬-৪, ৬-২ ও ৬-২ গেমে হারান সাবেক নাম্বার ওয়ান মারেকে। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে কেবল দুবার বছর শুরুর এই গ্র্যান্ড স্লামে প্রথম রাউন্ডে হারলেন মারে।
দুই ঘন্টা ২৪ মিনিটের লড়াই শেষে কোর্ট ছাড়ার সময় গ্যালারির উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছিলেন মারে। মনে হচ্ছিল হয়ত শেষবার প্রিয় এই কোর্টে খেললেন তিনি। পাঁচবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রানার্সআপ হওয়া মারে ম্যাচ শেষে দিলেন শেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার ইঙ্গিতও, ‘‘মনে হয় এটাই আমার শেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। আমি যেভাবে খেলছি তাতে খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারব না।’’
গত ইউএস ওপেনের পর ১২ ম্যাচের ৮টি হেরেছেন মারে। গত অক্টোবর থেকে এ নিয়ে হারলেন টানা চার ম্যাচ। ২০১২ সালের ইউএস ওপেন আর ২০১৩, ২০১৬ সালের উইম্বলডন জয়ী মারেও বুঝছেন, দিন ফুরিয়ে হেছে তার।
এদিকে মারের মত ছেলেদের এককের প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছেন স্তান ওয়ারিঙ্কাও। তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী এই সুইসকে -৪, ৩-৬, ৫-৭, ৬-৩, ৬-০ গেমে হারান ফ্রান্সের এদ্রিয়ান মানারিনো।
অঘটন ঘটেছে মেয়েদেরে এককে। গত উইম্বলডজয়ী মারকেতা ভন্দ্রুসোভা হেরে গেছেন প্রথম রাউন্ডে। ইউক্রেনের অবাছাই দায়ানা ইয়াস্ত্রেমস্কা ৬–১, ৬–২ গেমে হারান ভন্দ্রুসোভাকে। টেনিসের উন্মুক্ত যুগে প্রথম অবাছাই নারী হিসেবে উইম্বলডন জিতেছিলেন ভন্দ্রুসোভা।