বিশ্বকাপ থেকে সুপার এইটে ওঠার সুখবর। দেশে ঈদুল আজহার খুশি। এর মাঝে বাংলাদেশ ক্রীড়াজ্ঞনকে দুঃখ দিয়ে গেল দুই মৃত্যু। একদিন আগে পরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন স্বনামধন্য ক্রিকেট কোচ জাফরুল এহসাম। আর বুধবার পরপারে ক্রীড়া সংগঠক ও বিসিবির পরিচালক আলমগীর খান আলো।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আলমগীর খান। বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কোচ জাফরুল ২০২২ সাল থেকে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার লম্বা লড়াই শেষে হার মানেন। দুজনের মৃত্যুতেই শোক বার্তা জানিয়েছে বিসিবি।
একাধিক মেয়াদে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হওয়া আলমগীরের নামাজে জানাজা হবে বারিধারা ডিওএইচএস মসজিদে। বুধবার বেলা ৩টায়। তাঁকে দাফন করা হবে বরিশালে। আলমগীর খান বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে ‘আলো ভাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। বরিশাল জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন পদে ছিলেন তিনি। কয়েক মেয়াদে তিনি ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
কোচ জাফরুল ২০০৬ সালে বিসিবির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের প্রধান কোচ ও ব্যাটিং কোচ ছিলেন ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত। কাজ করেছেন বাংলাদেশ “এ” দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবেও। এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ ছিলেন জাফরুল। জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ ছিলেন ২০০৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত।
লেভেল-৩ সার্টিফায়েড কোচ জাফরুল এহসান ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ভিন্ন ভিন্ন দলের কোচিং স্টাফে যুক্ত ছিলেন।