শুরুটা ভালো করা দরকার ছিল। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগের রেকর্ড বদলানোর স্বপ্ন সত্যি করার ভীত শক্ত হতো। বাংলাদেশ দলের সে লক্ষ্য পূরন হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে জয় এসেছে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে চোখ রাখার পালা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে শনিবার বিকেলেই নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। শহরের নাসাউ কাউন্টি নাজমুল হোসেনদের এই ম্যাচের ভেন্যু। এ মাঠে ক্রিকেটারদের আগেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ম্যাচটি হয়েছে।
তবে একটু পরিবর্তন আসছে। যে পিচে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ খেলেছিল নিউ ইয়র্কের মাঠটিতে সেই কন্ডিশন এখন নেই। এ মাঠের পিচ নিয়ে আসরের শুরু থেকেই সমালোচনা হচ্ছে। এ মাঠে চারটি ম্যাচের সবগুলোই হয়েছে লো স্কোরিং।
শুরুর দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে একশ রানের নিচে স্কোর এসেছে। আর পরের দুই ম্যাচে কানাডা-আয়ারল্যান্ড ১৩০ এর বেশি আর সবশেস ম্যাচে নেদারল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকারটিতে কোন রকমে ১০০ পার হয়।
তাই এই পিচ পরিবর্তন বা ভালো অবস্থায় রাখার চেষ্টা করছে আইসিসি। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে সেরা পিচ ও মাঠ বিশ্লেষকদের নিয়ে নাসাউ কাউন্টির ভেন্যুর উন্নতিতে কাজ করছে তারা।
এর মাঠে পরিচিত মাঠকে নতুন করে চিনতে হবে বাংলাদেশকে। এ মাঠে নিজেদের দুই ম্যাচ খেলেছে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের দুটি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং। একটু হলেও মাঠ চেনার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে তারা।
অবশ্য পিচ ও আউটফিল্ড পরিবর্তন করা হলে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলকেই নতুন করে মাঠটির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। সে যাই হোক বাংলাদেশ আপাতত নিজেদের নিয়ে ভাবতে পারে। প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর এখন ফুরফুরে মেজাজেই অনুশীলনে নামতে পারবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
