ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা চার-ছক্কা মারছেন। আর চট্টগ্রামের গ্যালারি নেচে উঠছে। দেশের মাটিতে হওয়া সিরিজে এমন দৃশ্য মানানসই না, কিন্তু এদিন এটাই যেন ভালো। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে অবশেষে এ দুই ব্যাটারের জুটিতে ১২৪ রানে অলআউট হয়। রান না হলে বাংলাদেশ ব্যাটাররা কি করবেন! তাই মাদান্দে ও মাসাকাদজার চার-ছক্কাতেও খুশি বাংলাদেশ সমর্থকরা।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুটা ছিল হাস্যকর। একের পর ব্যাটাররা উইকেট বিলিয়ে আসছিলেন। ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল – চার ব্যাটার ফিরলেন ০ রানে। তাদের ওপরই বড় রানের আশা করে জিম্বাবুয়ে। এই চারজন কোন রান করে ফেরায় জিম্বাবুয়ের ইনিংসেও চেহারাও একেবারে রুগ্ন হলো।
এই চার ব্যাটারদের দুই ওভারে জোড়ায় জোড়ায় ফিরিয়েছেন শেখ মেহেদি ও তাসকিন আহমেদ। সেই সঙ্গে ওপেনিংয়ে ভালো করতে থাকা অভিষিক্ত জয়লর্ড গাম্বি ১৪ বলে ১৭ করে শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন সাইফউদ্দিনের বলে। ব্রায়ান বেনেটও ১৫ বলে ১৭ রানের ভালো শুরু পেয়ে ফিরলেন রান আউট হয়ে। যেন কি থেকে কি করবেন বুঝতেই পারছিলেন না জিম্বাবুয়ে ব্যাটাররা। একেবারে দিশেহারা অবস্থা তাদের।
ততক্ষণে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার সম্ভাবনায় জিম্বাবুয়ে। এই রেকর্ডটি আছে নিউজিল্যান্ডের। ২০২১ সালে মিরপুরে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে তখনও লজ্জার রেকর্ড এড়ানো থেকে ১৯ রান দূরে।
শেষ পর্যন্ত দলকে লজ্জায় পড়তে দেননি মাদান্দে ও মাসাকাদজা। পরের ১০ ওভারের মতো ব্যাট করে দুজনে ৭৫ রানের জুটি গড়েন। তাতে সম্মান জনক স্কোর পায় জিম্বাবুয়ে। মাদান্দে অবশেষে তাসকিনের এম অপ্রতিরোধ্য ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে ফিরেছেন ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান করে।
অবশ্য ১৮ রানে জীবন পেয়েছিলেন এই ব্যাটার। লং অনে তার ক্যাচটি ফেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ তারকা ক্যাচ ছাড়ায় উইকেট বঞ্চিত হন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। আর মাদান্দের সঙ্গী মাসাকাদজা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৩৪ রানে।
উইকেট উৎসবে তিনটি করে শিকার পেয়েছেন তাসকিন ও সাইফউদ্দিন। দুজনই নির্ধারিত ওভারে দিয়েছেন যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ রান। এছাড়া ১৬ রানে ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদি।